২১ ঘণ্টা ধরে টানা উদ্ধার কাজ চলার পর পর্যাপ্ত আলোর অভাবে সোমবার রাতে গার্ডেনরিচে ধ্বংসস্তূপ (Garden Reach building collapse) সরানোর কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। এদিন ভোরের আলো ফুটতেই ফের উদ্ধার কাজ শুরু করেছে এনডিআরএফ (NDRF) সহ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০, এখনও কংক্রিটের নীচে বেশ কয়েকজন আটকে আছে বলে অনুমান উদ্ধারকারীদের।

রবিবার মধ্যরাত্রে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল গার্ডেনরিচের নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেখানে পৌঁছে যায় উদ্ধারকারী দল। আটকে থাকা বাসিন্দাদের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার পাশাপাশি সোমবার দিনভর বহু মানুষকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। মিলেছে একের পর এক মৃত্যুর খবর। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মৃত ও আহতদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় প্রোমোটার-সহ অন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফ থেকে শো-কজও করা হয়েছে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। একদিকে যেমন দোষীদের শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, তার পাশাপাশি আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। বিরোধীরা ভোটের আগে যতই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করার চেষ্টা করুক না কেন, রাজ্য সরকার গোটা পরিস্থিতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। সোমবার রাতের দিকে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। গোটা এলাকা পুলিশ বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন গোটা প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। আজ সকাল হতেই কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের ছোট ছোট করে কেটে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উদ্ধারকাজ। স্নিপার ডগ, আর্থ মুভার দিয়ে কাজ চলছে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
