CAA সমর্থন করব! শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কেন বললেন অভিষেক

ভোটের আগে CAA রাজনৈতিক গিমিক। যদি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দেন CAA-র পরে NRC হবে না, তাহলে আমি নিজে সেটা সমর্থন করব। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জানালেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)।

অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, “২০১৯ এ বিল পাস হল, তার রুল তৈরি করতে পাঁচ বছর লেগে গেল?” কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এটাই হাওয়া তোলা৷ ৩৯-৪০ পাতার রুল তৈরি হয়েছে, তাতে ৯০% পুরো ফর্ম। কবে পূরণ করতে হবে, কোথায় জমা দিতে হবে, কবে নাগরিকত্ব পাবেন সে বিষয়ে কিছু নেই। পুরোটাই অস্বচ্ছ৷” বৃহস্পতিবার এন আর সি আতঙ্কে এক যুবকের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তোলেন অভিষেক। জানান, ফলতায় তাঁর কেন্দ্রে সিএএ বিল পাস হওয়ার পরে একটি যুবক আত্মহত্যা করে।

ভারতের নাগরিক না হলে তো ভোটার কার্ড থাকবে না৷ যাঁরা মন্ত্রী, সাংসদ, প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিল তাঁরা ভারতের নাগরিক নন? প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। বলেন, “এটাই রাজনৈতিক গিমিক৷”

অভিষেকের কথায়, “অমিত শাহই (Amit Shah) বলেছিলেন সিএএ-এর পরে এনআরসি আসবে৷ আমাদের সিএএ নিয়ে কোনও আপত্তি নেই৷ বলুক না একবার, সিএএ হবে কিন্তু এনআরসি হবে না৷ আমি বলছি, সিএএ সমর্থন করব৷ দল করুক আর না করুক”। এরপরেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, পারবে না কারণ বিজেপির বিভাজনের খেলায় মেতেছে।

সিএএ-এর প্রভাব পড়বে লোকসভা ভোটে? উত্তরে অভিষেকের (Abhishek Bandyopadhyay) পাল্টা প্রশ্ন, “যেখানে সংখ্যালঘু ভোট ২-৩ শতাংশ, সেখানে তৃণমূল জিতছে কী করে? ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ির মতো জায়গায় তৃণমূল কী করে জিতল?” অভিষেকের কথায়, বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে। মানুষ চায় না তারা আসুক। সেই কারণেই মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে।




Previous articleউত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বেলেঘাটা বিধানসভার কর্মিসভায় তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি
Next articleজয় দিয়ে আইপিএলের অভিযান শুরু চেন্নাইয়ের, আরসিবিকে হারালো ৬ উইকেটে