CAA একটা জুমলা! টালিগঞ্জে যুবকের মৃত্যু নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের

CAA-NRC-র বিরোধিতায় প্রথম থেকে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দেহে রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত তিনি বাংলায় NRC হতে দেবেন না। শুক্রবার, কাটোয়া বর্ধমানের ২ দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনগর্জন সভা থেকে CAA নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, CAA একটা জুমলা। আর এই আতঙ্কেই টালিগঞ্জে একটা তরতাজা ৩৩ বছরের যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন অভিষেক।


এদিন CAA-NRC নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। মঞ্চ থেকেই এনআরসি উদ্বেগে যুবকের আত্মহত্যার প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “গতকাল ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড টালিগঞ্জে ৩৩ বছরে একজন তরজাতা তরুণ কাগজ খুঁজে পাচ্ছে না বলে আতঙ্ক ভয়ে আত্মহত্যা করেছে, এনআরসি-র ভয়ে, সিএএ-র ভয়ে।“ বিজেপি বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “এরা নির্বাচনের আগে বলছে আমরা সিএএ করব। আপনি সিএএ আইন পাশ করেছেন ২০১৯ সালে। আর নিয়ম তৈরি লেগে গেল ৫ বছর। সিএএ যে নোটিফিকেশন হয়েছে সেটা আরেকটা জুমলা। আমি কেন বলছি এটা জুমলা। যে নোটিফিকেশন হয়েছে তার ৪০ পাতার মধ্যে ৩৮ পাতা হল ফর্ম। মানে আপনি ফর্ম ফিলআপ করুন, তারপর কবে নাগরিকত্ব পাবেন, কার কাছে যাবেন, কোথায় আবেদন নিবেদন করবেন কিছুই লেখা নেই।“

অভিষেকের কথায়, “আমরা যদি নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলি করে বলতাম, আগে ফর্ম ভরুন, তারপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব, আপনারা কি ভোট দিতেন? কেউ ভোট দিত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে ১ মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাস্তবায়িত করেছেন। আর এরা এখন ফর্ম বিলি করছেন।“

এনআরসি নিয়ে অভিষেক বলেন, “সিএএ-র কারণে অসমে ১২ লক্ষ মানুষ এনআরসি-র কবলে পড়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নাম কী? হিমন্ত বিশ্বশর্মা। উনি কোন দলের? বিজেপি করেন। গতকাল কলকাতা পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ বছরের এক তরতাজা তরুণ কাগজ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে আতঙ্কে ও ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এনআরসি ও সিএএ-র ভয়ে।“

সিএএ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আপনাকে জানাতে হবে আপনার বাংলাদেশের পাসপোর্ট নাকি পাকিস্তানের পাসপোর্ট না আফগানিস্তানের পাসপোর্ট। আমি যদি মিথ্যা কথা বলি তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। আমি তো এখানে টিভি-র সামনে বলে যাচ্ছি। আমি মিথ্যা কথা বলার ছেলে নয়, আমি স্পষ্ট বক্তা। সোজাকে সোজা বলি, সাদাকে সাদা বলি, কালোকে কালো বলি। জুমলার ফাঁদে পা দেবেন না। বিজেপির ভাঁওতাবাজিতে পা দেবেন না।“





Previous articleধ.র্ষণকাণ্ডে ৯ বছরের জেল ব্রাজিলের প্রাক্তন ফুটবলার রোবিনহোর
Next articleচতুর্থ তালিকাতেও ব্রাত্য বাংলা, ২৩ আসনে প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি!