গোহারা হারবে BJP! প্রতিহিংসায় বিরোধীদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা: তীব্র আক্রমণ কুণাল-শান্তনুর

লোকসভা ভোটে গোহারা হারবে। সেটা বুঝতে পেরে মরিয়া বিজেপি হাতে থাকা এজেন্সিদের পাঠিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে হেনস্থা করছে। শনিবার, তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তীব্র আক্রমণ করলেন সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ক্রীড়া প্রশাসক স্বরূপ বিশ্বাস ও প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ED, আয়কর, CBI পাঠিয়ে হেনস্থা করা হয়। এই প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল সাফ জানান, এটা BJP রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।

তীব্র আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ বলেন, যত লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই গেরুয়া শিবির বুঝতে পারছে দিল্লির মসনদে ফিরছে না। সেই কারণে নখ-দাঁত বের করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বাংলা তাদের গলার কাঁটা। সেই কারণেই হাতে যে যে এজেন্সি আছে সেই সবকে কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূলকে দমন করতে। মহুয়া মৈত্রের দফতরে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে কুণাল জানান, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। তিনি সংসদে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকারের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই কারণেই বিজেপি মরিয়া হয়ে গিয়েছিল তাঁকে সংসদ থেকে বার করার জন্য। মহুলা তৃণমূলের প্রার্থী। তিনি বিপুল ভোটে জিতবেন। স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়িতে আয়কর হানা প্রসঙ্গে কুণাল(Kunal Ghosh) জানান, সেখানে যে কিছু পাওয়া যায়নি, আর আধিকারিকরা যে উপরওয়ালার চাপেই সেখানে ছিল সেটা তো নিজেরাই বলেছেন। স্বরূপ এবং জুঁই বিশ্বাসও সেটা জানিয়েছেন।

মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা পাওয়া বিষয়ে তৃণমূল নেতা জানান, সেটা কীসের টাকা, কোথা থেকে এসেছে, সে সম্পর্কে মন্ত্রী কী বলেন, দেখা যাক। টাকা থাকা মানেই খারাপ নয়।

এর পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করে কুণাল জানান, লোকসভা ভোটের জন্য প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি। কেন্দ্রের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। বাংলায় যতই অফিসার বদলাও একটা নির্বাচিত সরকার। তোমরা ১০০ অফিসার বদলালেও ভোটারদের বদলাতে পারবে না। মানুষে তো বদলাতে পারবে না। মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে। তৃণমূলের অভিযোগ, অবিজেপি বা বিজেপি-বিরোধীদলকে হেনস্থা করার জন্য ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাংলায় তৃণমূলের নেতানেত্রীকে হেনস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কেজরির বিরুদ্ধে ‘রাজসাক্ষী’ প্রতারক সুকেশ! তথ্য ফাঁসের হুমকি

একই সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আগেই সরকারি টাকা ভোটের দাবি জানিয়ে ছিলেন। সেটাতে কালো টাকার লেনদেন আটকানো যেত। কিন্তু সেটা না করে, কেন্দ্র ইলেক্টোরাল বন্ড করে। সেই নিয়ম মেনে তৃণমূলের পার্টি অফিসের বাইরে একটি ড্রপ বক্স রাখা ছিল। সেখানে যারা তৃণমূলকে সমর্থন করেন, তারা দিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস জানত না কে টাকা দিয়েছে। তৃণমূল ভবনে ড্রপ বক্সে দিয়েছে। কারণ বন্ডে আলফা নিউমরিকাল কোড ছিল, দাতার নাম নয়। বিজেপি জানত কারা বন্ড দিচ্ছে। কারণ তাদের হাতে ইডি-সিবিআই ছিল। ইডি-সিবিআই পাঠিয়ে, কেন্দ্রীয় বরাত দিয়ে বিজেপি বন্ড নিয়েছে। তৃণমূল সেটা করেনি, তাদের হাতে সেই ক্ষমতা নেই।




Previous articleরাস্তার পশুদের গায়ে রং দেওয়ার আগে সাবধান! শহরবাসীকে সতর্কতা লালবাজারের
Next articleCAA আতঙ্কে মৃত যুবক, পরিবারের পাশে তৃণমূল সাংসদ