নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত আইন তৈরি করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। দেশের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র রাজনীতিক, যিনি বহুদিন ধরে বলে আসছেন স্টেট ফান্ডিংয়েই হোক নির্বাচন। তা হলে আর্থিকভাবে দুর্বলরাও ভোট লড়তে পারতেন। কিন্তু বিজেপি বন্ড নিয়ে এসেছে। তৃণমূল সেই নিয়ম মেনেছে।

শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বন্ড নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপির কাছে এজেন্সি আছে। তারা তাই দিয়ে হুমকির মাধ্যমে বন্ড কিনেছে শোনা যায়। তৃণমূলের হাতে সিবিআই-ইডি নেই। তৃণমূল জানতও না কারা টাকা দিচ্ছে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, বন্ডে শুধু কোড লেখা থাকে। সেই দিনগুলোয় আমাদের ড্রপবক্স থাকত। তাতে কেউ দিয়ে যেতেন। এখানে দলের তরফে অস্বচ্ছ কিছু নেই। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, কেন্দ্রের নিয়ম অনুসারে নির্বাচনী বন্ড প্রদানকারীর সমস্ত তথ্য অজানা থাকত প্রাপকের কাছে। সেই কারণেই কোন সংস্থা বা ব্যক্তি আমাদের দলকে কত অর্থ প্রদান করছে বা করছেন, তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না।

তাঁর আরও সংযোজন, কেন্দ্রের বিজেপিশাসিত সরকার সিবিআই-ইডি-কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। মূলত বিজেপি-বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখার জন্য তাঁরা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নামিয়ে দিয়েছে। তৃণূল কংগ্রেস এই প্রশ্ন বিজেপির গলার কাঁটা। তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই পাঠাচ্ছে। সংসদে নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সেই কারণেই চক্রান্ত করে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এদিন তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানাও আসলে সেই চক্রান্তেরই অংশ, সেইজন্যই সিবিআইকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুন- দেশের মধ্যে প্রথম, হে.পাটাইটিস রো.গ নিয়ন্ত্রনে রাজ্যে চালু টেলি মেডিসিন