আজকে কী কী ঘটেছিল?

রবার্ট ফ্রস্ট (১৮৭৪-১৯৬৩) এদিন সানফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য কবি। ১৮৯৪ সালে প্রথম কবিতা ‘মাই বাটারফ্লাই’ ছাপা হয় নিউ ইয়র্ক ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায়। ১৯৫০ সালের টাইম ম্যাগাজিনের সেরা ব্যক্তিত্বের সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া লাইফ ম্যাগাজিন-সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত পত্রিকার কভার স্টোরি হয়েছিলেন তিনি। নোবেল প্রাইজ ছাড়াও রবার্ট ফ্রস্ট তাঁর সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসাবে ইউ এস সিনেট পুরস্কার (১৯৫০), আমেরিকান পোয়েটস অ্যাকাডেমি পুরস্কার (১৯৫৩), নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি পুরস্কার (১৯৫৬), দ্য হান্টিংটন পুরস্কার (১৯৫৮), দ্য কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল (১৯৬২), ম্যাকডোয়েল মেডেল (১৯৬২) পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া ১৯৩০ সালে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড লিটারেচার-এর নির্বাচিত মেম্বার, এল্‌মহার্স্ট ইউনিভার্সিটি লাইফ লেকচারার (১৯৪৯) এবং ১৯৫৮ সালে লাইব্রেরি অব কংগ্রেস-এর পোয়েট্রি কনসালট্যান্ট নির্বাচিত হন। এ ছাড়া জীবদ্দশায় চারবার কবিতায় বিশ্ববিখ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

১৯৯৯ আনন্দশঙ্কর (১৯৪২-১৯৯৯) এদিন প্রয়াত হন। উদয়শঙ্কর ও অমলাশঙ্করের ছেলে। সুরস্রষ্টা ও অর্কেস্ট্রাবাদক। গিটারের সঙ্গে মৃদঙ্গ, রক সংগীতের পশ্চাদ্‌পটে সেতার বা সরোদের মিলনে সংগীতজগতে অভিনবত্ব আনেন। চলচ্চিত্র সংগীতকার হিসেবেও সুনাম অর্জন করেন।

১৭৭৩ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার রেগুলেটিং অ্যাক্ট পাশ হল এদিন। ডালহৌসি স্কোয়্যারের সামনে পূর্ব দিক বরাবর সোজা হেঁটে গেলে একটা সাদা রঙের চার্চে গিয়ে ধাক্কা খেতে হবে । ওই চার্চের মাথায় একটি হাওয়া-মোরগ রয়েছে। একপাশে রাইটার্স বিল্ডিং, তার ঠিক পাশে এই সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চ। এক সময় এখানে ছিল কলাম দেওয়া একটি চোখ ধাঁধানো বাড়ি। সেখানেই স্থাপিত হয়েছিল দেশের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট। পরে ওই বিল্ডিং ভেঙে তৈরি হয় চার্চ। ১৭২৮ সালে কলকাতা শহরে ওই থামওয়ালা বাড়িতেই বসত ‘মেয়র্স কোর্ট’। এই মেয়র আদালতকেই ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ধাঁচে বিচারব্যবস্থা প্রবর্তনের আনুষ্ঠানিক শুরু বলা যেতে পারে। পরে ১৭৭৪-এ মেয়র আদালতকে সরিয়ে শুরু হয় সুপ্রিম কোর্ট। ১৮৬২ পর্যন্ত এটিই ছিল ব্রিটিশ ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

১৮৯৩ ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে ডি জি (১৮৯৩-১৯৭৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। চিত্রশিল্পী, মূকাভিনেতা, বহুরূপী সজ্জায় বিশেষজ্ঞ, চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা, কৌতুকশিল্পী ও সংস্থা-সংগঠক হিসেবে তিনি জীবদ্দশাতেই কিংবদন্তির নায়কে পরিণত হয়েছিলেন। মোট ২৪টি নির্বাক ও ২৫টি সবাক ছবি করেছিলেন। ৪০ বছর সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শেষ ছবি ‘কার্টুন’ (১৯৫৮)। আশি বছর বয়সে কলকাতার রঙ্গমঞ্চে ‘অলীকবাবু’ নাটকে তরুণ নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। পেয়েছেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ও পদ্মভূষণ।

১৯০৭ মহাদেবী বর্মা (১৯০৭-১৯৮৭) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দি ভাষার বিখ্যাত কবি। ‘ছায়াবাদ’ ঘরানার উল্লেখযোগ্য কবি। কবি সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালাজি তাঁকে ‘সরস্বতী’ আখ্যা দিয়েছেন। পেয়েছেন পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ এবং ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হার, রেশমী, নীরজা, সন্ধ্যাগীত, দীপশিখা ইত্যাদি। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘অগ্নিরেখা’। তিনি অসংখ্য ছোট গল্প লেখেন। ‘গিল্লু’ গল্পটির জন্য তিনি বিশেষভাবে সমাদৃত হন।

১৯৭৯ মিশর ও ইজরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ক্যাম ডেভিড চুক্তি নামে এটি বিখ্যাত। ১৯৭৮-এর সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই চুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মেনাচেম বেগিন ও আনোয়ার সাদাত।

২০০০ রুশ গুপ্তচর তথা রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির পুতিন এদিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

Previous articleবেলাগাম কুৎসিত আক্রমণ দিলীপের! পাল্টা ধুয়ে দিল তৃণমূল
Next articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে