প্রতিপক্ষ মহুয়া, এবার কৃষ্ণনগরের রাজমাতাকে ফোনে বিশেষ পরামর্শ মোদির

লোকসভা ভোটের আগে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন। ভোট ঘোষণার আগে মার্চের শুরুতেই চারটি জনসভা করেছেন মোদি। সেইসঙ্গে একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর অন্য কৌশল নিয়েছেন তিনি। অরাজনৈতিক, আনকোরা ও নতুন প্রার্থীদের সরাসরি ফোন করে ভোকাল টনিক দিচ্ছেন মোদি। বিশেষ করে মহিলা প্রার্থী, এবং যাঁদের নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভের সঞ্চার তাঁদের ফোন করছেন। এবং বিজেপি সেই কথোপকথন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়ার পাশাপশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করছে। এতে যেমন দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রশমিত করা যাবে, তেমনই জনমানসে মোদি পরিবারের প্রার্থী হিসেবে ফোকাস করা যাবে বলেই মনে করছে বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।

সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ তথা বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজবাড়ির রাজমাতা অমৃতা রায়কে ফোন করলেন মোদি। এবং সেই কথোপকথনে রাজামাতাকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন কৃষ্ণনগরে তাঁর ও বিজেপির প্রচারের মন্ত্র কী হবে। কেন মোদি ভালই জানেন, এই কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী কঠিন।

মিনিট পাঁচেকের কথোপকথনে কৃষ্ণনগরের রাজমাতা’ল তথা দলীয় প্রার্থী অমৃতা রায়কে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কথাবার্তা হয় বাংলার ‘দুর্নীতি’ নিয়েও। অমৃতার ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের কথাও তাঁকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সদস্যা অমৃতাকে ‘জোশ’ নিয়ে নির্বাচনের ময়দানে নামার বার্তা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগরের কেন্দ্রের ‘গুরুত্ব’ বুঝিয়ে দেন মোদি। এছাড়া রাজনীতিতে আনকোরা বিজেপি প্রার্থীকে ভবিষ্যতেও ‘গাইড’ করার কথা দেন তিনি। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত অমৃতা নিজেও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর রাজমাতার প্রতিক্রিয়া, “ময়দানে লড়াই হবে।”

মোদির সঙ্গে কথোপকথন প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সাঙ্ঘাতিক জোশ পেলাম। সাহস পেলাম। খুবই আনন্দ পেয়েছি। ওঁনার মতো একজন আমাকে গাইড করছেন, ভেবে ভাল লাগছে। উনিই আমার অনুপ্রেরণা।” অমৃতার সংযোজন, “যদিও উনি বলেছেন, ‘আমি কেউ নই।’ লোকের কাছে গিয়ে আশীর্বাদ নেওয়াটাই আসল অনুপ্রেরণা।”