‘আমার বুথে আমি সাথে’: লোকসভা ভোটে তৃণমূলের নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি!

এবার বুথে বুথে এবং প্রতি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে জনসংযোগ করবে তৃণমূল। এছাড়াও কর্মিসভার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে 'বন্ধন আঁচলের জয়ের তৃণমূলের'।

বাংলার মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধে পাচ্ছেন প্রত্যেকেই। সেই উন্নয়নের খতিয়ান মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে এবার নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি সারবেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বিশেষ করে মহিলা উন্নয়ন (Women Devolopment) নিয়ে চলবে প্রচার। কর্মসূচির নাম ‘আমার বুথে আমি সাথে’।

মহিলাদের উন্নয়নকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়েছে তৃণমূল সরকার। এবার তৃণমূল মহিলা প্রার্থীদের কেন্দ্রে বৈঠক ও জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক হবে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু এই কর্মসূচি। এর আগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফল্যের অনেকটা অংশ জুড়ে ছিল মহিলা ভোটব্যাঙ্ক। এবারেও সেই দিকে বিশেষ নজর থাকছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুবিধা পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করেছেন বাংলার মহিলারা, তাতে ভয় পেয়ে বিজেপি (BJP ) রাজ্যের শাসক দলকে নকল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা ইত্যাদি প্রকল্পের জেরে বাংলার প্রতিটি মহিলার প্রিয় হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিলাদের সম্মান জানিয়ে এর আগে পথে নেমেছে তৃণমূল, এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলবে উন্নয়নের প্রচার কর্মসূচি। ‘সবাই বলো লক্ষ্মী এলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে মহিলাদের কাছে পৌঁছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রচার করা হবে। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বলেন, বাংলার মহিলাদের যেভাবে সম্মান দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা দেশের কোনও রাজ্যে হয়নি। এবার বুথে বুথে এবং প্রতি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে জনসংযোগ করবে তৃণমূল। এছাড়াও কর্মিসভার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্ধন আঁচলের জয়ের তৃণমূলের’। যে ১২ জন মহিলা প্রার্থী তৃণমূল ঘোষণা করেছে তাঁদের কেন্দ্রে ‘ সবাই বলো লক্ষ্মী এলো’ কর্মসূচি চলবে। মন্ত্রী জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে জনগর্জন সভা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের আগামী দিনের উন্নয়নের লক্ষ্যের বিষয় জানানো হবে। তাঁদের মতামত গ্রহণ করা হবে। যে যে বাড়িতে তৃণমূলের এই কর্মসূচি চলবে সেখানে একটি স্টিকার লাগিয়ে আসা হবে। যাতে বাংলা বিরোধীরা বুঝতে পারেন যে কী ভাবে মানুষ তাঁদের বর্জন করছেন।

Previous articleটাকার বিছানায় বিজেপির শরিক দলের নেতা! মুহূর্তে ভাইরাল ছবি
Next articleতৃণমূল প্যারাটিচার-শিক্ষাবন্ধু সংগঠনের রাজ্য কমিটি ঘোষণা ব্রাত্যর