লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আর মাত্র কিছু সময় বাকি। ইতিমধ্যে, দেশের একাধিক রাজ্যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। শুক্রবার দীর্ঘ টানাপোড়নের পর অবশেষে বিহারে (Bihar) আসন ভাগাভাগি চুড়ান্ত করল বিজেপি বিরোধী মহাগঠবন্ধন জোট। আসনের রফা সূত্র অনুযায়ী বিহারে ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আরজেডি (RJD) ২৬, কংগ্রেস ৯, সিপিআইএমএল (লিবারেশন) ৩, সিপিএম ১ ও সিপিআই ১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিংয়ের উপস্থিতিতে আরজেডি মুখপাত্র মনোজ ঝা আসন ভাগাভাগির (Seat Adjustment) কথা ঘোষণা করেন। তবে ইতিমধ্যে আসন বন্টন নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষোভের সুর কংগ্রেসের (Congress) গলায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বারবার দাবি জানানো হলেও, পূর্ণিয়া আসনটি প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদবকে ছাড়েনি লালুপ্রসাদ, তেজস্বী যাদবের দল।

অন্যদিকে, কাটিহারের চার বারের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তারিক আনোয়ারকে আসন ছাড়ার বিষয়েও এখনও আরজেডি-কংগ্রেসের মধ্যে দড়ি টানাটানি খেলা চলছে। তবে লালুর দল আরজেডির তরফে আগেভাগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, সদ্য দলে যোগ দেওয়া জেডিইউ বিধায়ক বীমা ভারতীকে পূর্ণিয়ায় টিকিট দেওয়া হতে পারে। আর সেকারণেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পাপ্পুকে একেবারেই আসন ছাড়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লিতে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে লালু-তেজস্বী তা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন বলে খবর। এদিকে শুক্রবারই আরজেডি মুখপাত্র জানান, আমরা জোট প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পরেই সর্বসম্মত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কংগ্রেসের অভিযোগ, হাত শিবিরের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ঔরঙ্গাবাদে দলের প্রাক্তন সাংসদ নিখিল কুমারকেও আসন ছাড়েনি আরজেডি। কিন্তু সেখানে একতরফা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে আরজেডি। অন্যদিকে, কংগ্রেস জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের জন্য বেগুসরাই আসনটি চাইলেও তা একতরফাভাবে সিপিআই-কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের পাশাপাশি তিন বাম দল—সিপিএম, সিপিআই এবং সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-র সঙ্গেও আসনরফা করেছে আরজেডি। কিন্তু আসন ভাগাভাগির পরই বিহারের রাজনীতিতে শুরু জোর জল্পনা।
