মহেশতলা-বজবজে রণকৌশল বৈঠক: উন্নয়নের ঢালাও প্রচারের নির্দেশ অভিষেকের

রাজ্যের উন্নয়নের মডেলকে সামনে রেখে লোকসভার প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় অভ্যন্তরীণ বৈঠক থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন, দিদির উন্নয়ন-কর্মযজ্ঞকে লোকসভা ভোটের প্রচারে তুলে ধরতে হবে। তাঁর সাফ কথা, দিদির উন্নয়ন আর মোদির মিথ্যা প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে প্রচার করুন। মানুষকে বুঝিয়ে দিন, মোদির ভাঁওতাবাজির গ্যারান্টি নয়, দিদির ওয়ারেন্টি চাই।

অভিষেক নিজেও তাঁর সংসদীয় এলাকার উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন। ডায়মন্ড হারবার মডেল এখন অনুসরণ করছে দেশের অন্য রাজ্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই উন্নয়নের খতিয়ানকে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ নামে মলাট বন্দি করে প্রত্যেক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকার কী কী উন্নয়ন হয়েছে, তা যেমন মানুষকে জানাতে হবে,তেমনি  জানাতে হবে মুখ্যমন্ত্রী কী কী জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন, মানুষ কীভাবে উপকৃত হচ্ছেন। আর ফাঁস করে দিতে হবে মোদি গ্যারান্টির ভাঁওতা। আবাস ও ১০০ দিনের কাজে বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্র বঞ্চিত করলেও গরীব মানুষকে ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার এবং আবাসের টাকাও দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। তা নিয়েই ঢালাও প্রচারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এর পাশাপাশি ভোটে লিড বাড়ানোর বার্তাও দেন অভিষেক। এই বৈঠক থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশ দেন, বাড়ি বাড়ি যান, জনসংযোগ করুন। এলাকার মানুষ কী চাইছেন, তা শুনুন। নোট-ডাউন করুন। বোঝার চেষ্টা করুন মানুষের মনের কথা। মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিন। তাহলেই হবে লক্ষ্যপূরণ।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ, বাড়ি বাড়ি প্রচারকেই তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। বিধানসভা ওয়াড়ি বিভিন্ন নেতাদের তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন প্রচারকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্য।ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রকে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিন ধরে বৈঠক করেন। বুধবার ডায়মন্ড হারবার ও ফলতা, বৃহস্পতিবার সাতগাছিয়া ও বিষ্ণুপুর এবং শুক্রবার মহেশতলা, বজবজ ও মেটিয়াব্রুজের নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করে প্রচারের রূপরেখা তৈরি করে দেন অভিষেক। প্রতিটি বৈঠকেই তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন জনসংযোগে। মানুষের মন পড়ার বার্তা দেন। বার্তা দেন জনগণের পাশে থাকার, তাঁদের প্রয়োজন বোঝার। তাহলেই মানুষের আস্থা নিয়ে লক্ষ্যপূরণে সফল হবে বলে তাঁর বিশ্বাস। অভিষেকের সাফ কথা, আমরা কাজ করেছি, মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমাদের জয়ের মার্জিনও বাড়বে। সে জন্য শুধু মানুষকে নিয়ে চলতে হবে। এটাই হবে তৃণূমূলের সাফল্যের ইউএসপি।






Previous articleRJD-র সিদ্ধান্তেই সিলমোহর! বিহারে আসন ভাগাভাগি হতেই ক্ষোভের সুর কংগ্রেসের গলায়
Next articleআরসিবির বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে নিজের প্রিয় শটের কথা জানালেন রাসেল, দিলেন হুঙ্কারও