NIA-র মতো সংস্থাকে ‘লেঠেল বাহিনী’ বানানোর অ.ভিযোগ! প্রফুলকে সামনে রেখে মোদিকে ধু.য়ে দিলেন কুণাল-ঋতব্রত

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির নেতা অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে মাস কয়েক আগেই এন়ডিএ জোটে সামিল হয়েছিলেন প্রফুল প্যাটেল। আর সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার লিজ মামলায় অভিযুক্তকেই ক্লিনচিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শনিবার সেই ইস্যুতেই প্রফুলকে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকতেই দাগীকেও একেবারে ধবধবে সাদা করে দেওয়া হচ্ছে। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের মোদি সরকার ও মোদি ঘনিষ্ঠ প্রফুল প্যাটেলকে একহাত নেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুজনেই একেবারে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ওয়াশিং মেশিনের ঢাকা তুলে প্রশ্ন করা হয় হ্যায় প্রফুল্ল, হ্যায় গদ্দার! হিমন্ত, নারায়ন, অজিত পাওয়ার… হাউ আর ইউ? তৃণমূলের সাংবাদিক সম্মেলনে চমক।

পাশাপাশি মোদি সরকারকে ওয়াশিং পাউডার ভাজপা, ওয়াশিং মেশিন ভাজপা বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল ও ঋতব্রত। এদিন কুণালের বক্তব্যে উঠে আসে স্বাধীনতার পর দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম মোদি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডি-আইটি-এনআইএ-র অপব্যবহার করে সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাফল্য মাত্র ০.৪ শতাংশ। কুণালের আরও অভিযোগ, নির্লজ্জতার সীমা ছাড়াতে ছাড়াতে বিজেপিকে এখন বাংলার মানুষ বলছেন, তোর কাপড় কোথায়!তবে এখানেই শেষ নয় এদিন মোদি সরকারের সমালোচনা করে কুণালের আরও অভিযোগ, দেশের বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এজেন্সিরাজ চালিয়ে ভোটের মুখে হেনস্থা করছে মোদি সরকার। আর যারা সমঝোতা করছে তাঁদের বিজেপি ওয়াশিং পাউডারে মাখিয়ে মেশিনে ঢুকিয়ে ‘শুদ্ধ’ করে নিচ্ছে। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ প্রফুল্ল প্যাটেল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এদিন প্রশ্ন তোলেন, এনআইএ-র মতো সংস্থাকে লেঠেল বাহিনী বানিয়ে ফেলেছে বিজেপি। আর তারাও জি হুজুরের মতো সেই কাজ করছে। গণতন্ত্রকে হাস্যকর বানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও বিজেপিকে সাহায্য করছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে দিলীপ ঘোষ, সকলে বিধিভঙ্গ করছে। কমিশনের লক্ষ্য তখন বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার বিরুদ্ধে লড়ছে। বাংলা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করে জবাব দেবে।

২০১৭ সালে বিমান কেলেঙ্কারিতে প্রফুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। প্রফুল্ল এক সময়ে শরদ পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁকে কংগ্রেস আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করা হয়েছিল। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। অভিযোগ, তৎকালীন সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার লাভজনক রুট টাকার বিনিময়ে বেসরকারি বিমান সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, বিমান কেনার ব্যাপারে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এই সুবিধার বিনিময়ে টাকা নিয়েছিলেন প্রফুল এমন অভিযোগও করা হয়েছিল। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সিবিআই জানিয়ে দিল প্রফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি জানিয়ে দিয়েছে। একইভাবে রেহাই পেয়েছেন অসমের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। দুর্নীতি মামলায় ফেঁসে শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপিতে গিয়ে বর্তমান মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। একই ঘটনা নারায়ন রানে, অশোক চৌহান, ছগন ভুজবাল, গদ্দার অধিকারীদের ক্ষেত্রেও। আর তারাই এখন এখন এনআইএ-র কর্তার সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তালিকা দিচ্ছে। গ্রেফতার করতে বলছে।

আরও পড়ুন- আবার আয়কর নোটিশ! নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে ‘পঙ্গু’ করার চেষ্টা

Previous articleআবার আয়কর নোটিশ! নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে ‘পঙ্গু’ করার চেষ্টা
Next articleকেরালার বিরুদ্ধে নামার আগে চাপে ইস্টবেঙ্গল