কেন্দ্রীয় নীতির জেরে কর্মহীনদের চা-কৃষকের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, কাজ বন্ধ না করার পরামর্শ

উত্তরের কর্মহীন ১০ লক্ষ চা-শ্রমিক তথা কৃষকদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার, চালসায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, নির্বাচনী আচারণ বিধি থাকায় তিনি এখন কিছু বলতে পারছে না। তবে তিনি কাজ বন্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড়ে জলপাইগুড়ি-সব বিস্তৃর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আহত শতাধিক। বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রবিবার রাতেই সেখানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই আছেন তিনি। সেখানে দলীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোমরাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন GTA প্রধান অনীত থাপা। জানান, কেন্দ্রীয় নীতির জন্য পাহাড়ে ১০ লক্ষ চা কৃষক বেকার হয়ে পড়েছেন। কারণ, কেন্দ্র জানিয়েছে তাঁরা বিধিসম্মত কীটনাশক ব্যবহার করছে না। এর জেরে ১০ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে গিয়েছেন। মমতা (Mamata Banerjee) প্রশ্ন তোলেন, এতদিন থেকে হুঁশ হয়নি কেন্দ্রের। আগে বলেনি কেন! তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা করা যেতে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, নির্বাচনী আচারণ বিধির জন্য এখন তিনি এবিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তবে, তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোটের পরে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেবে রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রকাশচিক বরাইকও তাঁকে চা কৃষকদের সমস্যার কথা জানান। মমতা বলেন, তাঁদের বাগানে পোকামাকড়ের কারণে দেওয়া কীটনাশকের জেরে চা-পাতা কিনতে চাইছে না চা কোম্পানিগুলি। মমতা বলেন, এই কৃষকরা নিজেরাই চা-পাতা তৈরি করে। কারখানাগুলি এদের থেকে কেনে। কেন্দ্র ২০১৫ সালে নির্দেশিকা জারি করে। কিন্তু ভোটের আগে এই কৃষক-শ্রমিকদের কোনও সময় না দিয়ে চা কেনা বন্ধে কথা জানানো হয়েছে। তাঁদের আসল ঘটনা কী জানতেই দেওয়া হয়নি। ফলে ১০ লক্ষ চা-শ্রমিক বেকার। মুখ্যমন্ত্রী কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বল হবে। নির্বাচনের পরে প্রশাসন ওঁদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে। যাতে ওদের কাজ বন্ধ না হয় প্রশাসন দেখবে।