মন্ত্রিসভা থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে সরানোর ‘হাস্যকর’ সুপারিশ! আনন্দ বোসকে তীব্র কটাক্ষ ব্রাত্যর

নির্বাচনী আচারণ বিধি চলার মধ্যেই হঠাৎ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Bose) রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার, এই সুপারিশের পরেই তীব্র কটাক্ষ করেন নিজের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন ব্রাত্য বসু। এই সুপারিশকে ‘হাস্যকর’ বলে খোঁচা দেন ব্রাত্য। লেখেন, “এটা হাস্যকর। আমি বিধি ভাঙলে তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত। রাষ্ট্রপতিকে নয়। রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক রঙ দেখিয়ে দিলেন।“

প্রবল কটাক্ষ করে শিক্ষামন্ত্রী লেখেন,
“এটা ততটাই হাস্যকর যে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে অপসারণের সুপারিশ করছি। আমি যদি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে থাকি, তাহলে এটা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নজরে রাজনৈতিক দল আনবে, তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এমন অভিযোগ তুলে তিনি তাএর সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করে রাজনৈতিক পরিচয় প্রমাণ করেছেন। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, যে কোনও মন্ত্রীর নিয়োগ বা অপসারণের সুপারিশ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করতে হয়। তিনি শুধু তাঁর আসল রংই দেখাননি, তাঁর সাংবিধানিক সীমাও অতিক্রম করেছেন।”

৩০ মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যা নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রাজ্যপালের। এই অজুহাতে শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাবিনেট থেকে সরানোর জন্য আবেদন করেন আনন্দ বোস। তীব্র আক্রমণ করে ব্রাত্য বলেন, রাজ্যপাল শুধু একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে আচরণ করছেন তাই নয়, তিনি নিজের সমস্ত সীমাও অতিক্রম করছেন। তাঁর কথায়, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়ে থাকলে রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ করার কথা। রাজ্যপাল আগবাড়িয়ে কেন এসব করছেন!

আরও পড়ুন- দ্বিতীয় দফায় আরও ৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা আইএসএফের, ডায়মন্ড হারবারে মজনু লস্কর

Previous articleদ্বিতীয় দফায় আরও ৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা আইএসএফের, ডায়মন্ড হারবারে মজনু লস্কর
Next articleওয়েস্ট বেঙ্গল ডেন্টাল কাউন্সিলের নির্বাচন: বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী সরকারপন্থী প্যানেল