দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ে রদবদল, হরপ্পাই ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা !

ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সংস্থার সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার উপর ভিত্তি করেই এই নতুন সংযোজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস বইতে এবার তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন। বড়সড় বদল আনা হল ‘সিন্ধু সভ্যতার উৎস ও পতন অধ্যায়’টিতে।নতুন পাঠ্যক্রমে এই পরিবর্তন ঘটিয়েছে শিক্ষা সম্বন্ধীয় গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং(NATIONAL COUNCIL FOR EDUCATIONAL RESEARCH AND TRANING) বা এনসিইআরটি(NCERT)। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাসের পাঠ্য বইয়ে এই পরিবর্তিত সংস্করণ চালু করা হচ্ছে। এই বিষয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন(CENTAL BOARD OF SECONDARY EDUCATION)বা সিবিএসই(CBSE)-কে।
জানা গিয়েছে, হরপ্পা সভ্যতার ‘ব্রিকস, বিনস অ্যান্ড বোনস’ অধ্যায়ের মধ্যে ‘থিমস ইন ইন্ডিয়া হিস্টরি পার্ট ওয়ান’-এ এই পরিবর্তন করেছে এনসিইআরটি(NCERT)। নতুন এই সংযোজনে হরপ্পা সভ্যতার ৫ হাজার বছরের অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, হরপ্পা সভ্যতাই হল ভারতের দেশজ সভ্যতা। ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সংস্থার সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার উপর ভিত্তি করেই এই নতুন সংযোজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি হরিয়ানার রাখিগঢ়ীতে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শনের প্রাচীন ডিএনএ পরীক্ষায় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আর্য অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা।অন্যদিকে, হরপ্পাবাসীদের জিনগত শিকড় ১০ হাজার খ্রিস্ট পূর্বাব্দের এবং আজও তাদের ডিনএ-র ধারাবাহিকতা বজায় আছে বলে ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জনসংখ্যার বেশিরভাগই তাদের উত্তরসূরী। একইসঙ্গে, হরপ্পায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কিছু নিয়মকানুন চালু ছিলও বলেও ওই গবেষণার মাধ্যমে জানা গিয়েছে।
এর ফলে, হরপ্পা সভ্যতা ও বৈদিক যুগের মানুষ সমসাময়িক কিংবা একই কিনা, সেই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত পুরাতাত্ত্বিকদের।





 

Previous articleভোটের মুখেই NDA শিবিরে ধাক্কা! বিহারে চিরাগের হাত ছেড়ে INDIA-কেই সমর্থনের ঘোষণা ক্ষুব্ধ ২২ নেতার
Next articleলোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ভিন রাজ্যে যাবেন মমতা, তালিকায় কোন কোন রাজ্য