ওয়াটগঞ্জে মহিলা খুনের ঘটনার কিনারায় লালবাজারের তৎপরতায় এবার একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি ওই মৃতার ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেল।বৃহস্পতিবার সকালে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মহিলার স্বামীর এখনও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।টাকা নিয়ে গোলমালের কারণেই কি এই খুন, না কি এই খুনের নেপথ্যে আরও কোনও রহস্য রয়েছে, তা জানতে তৎপর কলকাতা পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২ এপ্রিল। দক্ষিণ কলকাতার ওয়াটগঞ্জের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পাঁচিলের পাশ থেকে উদ্ধার হয় কালো প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া এক মহিলার দেহাংশ। যদিও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। এরপর প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্ত করা হয় ওই মহিলার দেহ।
জানা গিয়েছে, ওই নিহত মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। তিনি বন্দর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। এরপর ওই মহিলার দেহ শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের লোকেরাই। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে পশ্চিম বন্দর এলাকার বাসিন্দা ধোনি সরখেলের সঙ্গে বিয়ে হয় দুর্গার। স্বামি, শাশুড়ি, দেওর, ননদের পাশাপাশি একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে দুর্গা সরখেলের।
এই ঘটনা সামনে আসার পরই দুর্গার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তদন্ত চলাকালীনই দুর্গা সরখেলের ভাসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গার স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে রিহ্যাবে ছিলেন তিনি। তবে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যাওয়ায় তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুর্গার গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ থাকলেও, তাঁর শরীরের বাকি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাটার জন্য চপার অথবা করাত ব্যবহার করা হয় থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।