একজনের হাতে রক্ত অন্যজন দেশের লজ্জা: একতিরে ২ বিজেপি প্রার্থীকে বিঁধলেন মমতা

প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। কলঙ্কিতদের প্রার্থী করছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় দলীয় প্রার্থী জগদীশ রায় বাসুনিয়ার প্রচার সভা থেকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একতিরে বিঁধলেন ২ বিজেপি প্রার্থী- কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik) ও বীরভূমের দেবাশিস ধরকে (Debashish Dhar)। মমতার কথায়, একজনের হাতে শীতলকুচির রক্ত। অন্যজন “তৃণমূলের আপদ ছিল, এখন বিজেপির সম্পদ হয়েছে”। দলীয় প্রার্থী জগদীশ রায় বাসুনিয়াকে ‘হিরে’ বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো।

মিনি টর্নেডো বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রবিবার মধ্যরাত থেকে উত্তরবঙ্গেই রয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বৃহস্পতিবার, তাঁর পূর্ব নির্ধারিত রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল মাথাভাঙায়। সেই মতো দলীয় প্রার্থী জগদীশ রায় বাসুনিয়ার সমর্থনে প্রচার সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকেই কোচবিচারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে নাম না করে তুলোধনা করেন মমতা। তাঁর কথায়, “এখানে একজন বাবু আছে। আমাদের দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের দলে ছিল আপদ। বিজেপির সম্পদ হয়ে গিয়েছি। আমি শুনেছি যে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের পুলিশের টুপি পরে বেড়ায়। আমি ভিডিয়োটা চেয়েছি। আজ নাকি তুমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী!! লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা। দেশের গণতন্ত্র কলঙ্কিত হয়েছে।“

এরপরেই আরেক বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবশিস ধরকে নিশানা করেন তৃণমূল সভানেত্রী। বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস। তীব্র আক্রমণ করে মমতা ববেন, “একটা পার্টির দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পরে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন। আমি জানি না, যে কেন্দ্রের সরকার কোনও সংবিধান মানে কি না।“ এর পরেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে গুলিচালনা ও প্রাণহানির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “ভুলে গিয়েছেন নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো পাঁচজনকে গুলি করে মেরেছিল। তাঁদের মধ্যে চারজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। একজন রাজবংশী। যে লোকটির নির্দেশে হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দুটি ডিপি চলছে।ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি। কিন্তু ভারতবর্ষের সরকার তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিয়েছে। কোনও আইনকানুন কিছু মানে না। তিনি আবার বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে এত মানুষ মেরেও হাতের রক্ত মোছেনি!“

এরপরেই মমতা বলেন, “কেউ এসডিপিও থেকে শুরু করে কন্সটেবল হবে, সিভিক পুলিশ, এসডিও, বিডিও ডাক্তার হবে। কিন্তু কারও অধিকার নেই কোনও রাজনৈতিক দলের দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেব।“ তৃণমূল সুপ্রিমোর সাফ কথা, “বিজেপির নীতি এক দেশ, এক রাজনৈতিক দল। কোনও বিরোধী দলকে তাঁরা টিকতে দেবে না।“

দলীয় প্রার্থী জগদীশ রায় বাসুনিয়াকে ‘হিরে’ বলে উল্লেখ করে মমতা ভোট দেওয়ার আর্জি জানান। বলেন, তাঁর মুখ মনে করেই তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিন।





Previous articleওয়াটগঞ্জে মহিলা খুনে পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার মৃতার ভাসুর
Next article৫০০ ঘণ্টা পার, শ্বেতপত্র কই? ‘জুমলা’ বিজেপিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ অভিষেকের!