ভোট কর্মী থেকে প্রিসাইডিং অফিসার, ভাতার তালিকা প্রকাশ কমিশনের

প্রতি ভোট কর্মী পিছু মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য এবারে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ মাথাপিছু ১৭০ টাকা। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসাররা তিন দিনের ট্রেনিংয়ের জন্য ৩৫০ টাকা করে পাবেন

লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটকর্মীদের নায়কের আসনে বসিয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রচার চালিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এবার ভোটের ময়দানে নামার আগে তাদের ভাতার বিস্তারিত তালিকাও প্রকাশ করা হল কমিশনের তরফে। প্রিসাইডিং অফিসার (presiding officer) থেকে শুরু করে জোনাল অফিসার (zonal officer), ভোট পরিচালনার দায়িত্বে কর্মীদের বিভিন্ন পর্যায়ে ধাপে ধাপে ভাগ করে এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভোটের কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য কর্মীদের দু’দফায় ট্রেনিং (training) দেওয়া হয়। প্রতি ভোট কর্মী পিছু মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য এবারে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ মাথাপিছু ১৭০ টাকা। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসাররা তিন দিনের ট্রেনিংয়ের জন্য ৩৫০ টাকা করে পাবেন। ভোটের সামগ্রী নিয়ে আসার জন্য চতুর্থ দিনও এবং পঞ্চম দিন অর্থাৎ ভোটের দিনও পাবেন ৩৫০ টাকা। একইসঙ্গে একজন পোলিং অফিসারের (polling officer) তত্ত্ববধানে যে ক’জন কর্মী নিযুক্ত থাকবেন তাঁদের মাথা পিছু ৩০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পোল ডিউটিতে (poll duty) যে সকল প্রিসাইডিং অফিসাররা যুক্ত থাকবেন তাঁরা মোবাইল রিচার্জের (mobile recharge) জন্য ৫০ টাকা পাবেন। ভোটের কাজে নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের ট্রেনিং থেকে শুরু করে ভোট পর্ব পর্যন্ত ২০০ টাকা দেওয়া হবে। ভোটের কাজে ‘মাস্টার ট্রেনার’রা ট্রেনিংয়ের জন্য ৩৫০ টাকা করে পাবেন। যা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা হতে পারে। এছাড়াও সেক্টর অফিসার (sector officer) বাদে সেক্টর স্টাফরা যারা পোলিং ডিউটি ছাড়া ভোটের অন্য কাজে যুক্ত থাকবেন তাঁরা ২০০ টাকা পাবেন। তাঁদের কাজের দিনগুলিতে খাবারের বন্দোবস্তও করা হবে। অন্যদিকে, যে সকল পোলিং কর্মীরা রাতের কাজে যুক্ত থাকবেন তাঁরা অতিরিক্ত ১৫০ টাকা করে পাবেন।