বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের

সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়ে এক সদস্যের ওই বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হবে বলেও রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকে রাজনৈতিক ও ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহার নিয়ে এবার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে এই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগের পাশাপাশি বিচারবিভাগীয় কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা ও দুর্নীতির অভিযোগেরও তদন্ত করবে। সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়ে এক সদস্যের ওই বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হবে বলেও রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে।

এরই পাশাপাশি,রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের পাল্টা রিপোর্ট কার্ড তৈরি করল রাজ্য সরকার। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে তৈরি করা হয়েছে পাল্টা রিপোর্ট কার্ড। রাজ্যপালের ভূমিকা ও আইনি ক্ষমতা নিয়ে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছে রাজ্য। “আচার্য তার ক্ষমতা পালনে ব্যর্থ। অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে স্থায়ী উপাচার্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনা বাধ্যতামূলক। রাজ্যপাল তা মানছেন না।”রাজ্যের তরফে তৈরি রিপোর্ট কার্ড একথাই উল্লেখ করা হয়েছে। “আচার্যর ভূমিকা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে শুধু নয়, অনেক ছাত্র ছাত্রীদের পিছনে ফেলে দিচ্ছে।” রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের কড়া নিন্দা রাজ্যের রিপোর্ট কার্ডে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দিন কয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। ব্রাত্য বসুর সেই পদক্ষেপ নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে অভিযোগ ওঠে।এই বিষয়ে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০ মার্চ ব্রাত্য বসুর নেতৃত্ব ও উপস্থিতিতে অন্যান্য মন্ত্রী বিধায়ক সাংসদ ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বৈঠকের কারণে আচার্য তথা রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনকারী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যার মধ্যে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোও যেন সামিল থাকে। রাজ্যপাল বলেছেন, ‘আপনি যতই উঁচুতে থাকুন না কেন, আইন আপনারও উপরে।’ এবার তাই রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও পাল্টা রিপোর্ট কার্ড তৈরি রাজ্যের।






Previous articleউরি সেক্টরে ভারতীয় সেনার দারুণ সাফল্য, জঙ্গি অনুপ্রবেশ আটকালো বাহিনী
Next articleব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে আরিয়ানের প্রেম, কী প্রতিক্রিয়া শাহরুখ – গৌরীর!