বৃহত্তর দায়িত্ব! হঠাৎই স্বেচ্ছাবসরের ঘোষণা বন্ধন ব্যাঙ্কের CEO-র

সিইও ও এমডি পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর এবার বৃহত্তর দায়িত্বে আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে চন্দ্রশেখর ঘোষের

শেষ হতে চলেছে ৯ বছরের পথচলা। এবার আরও বৃহত্তর দায়িত্বে বন্ধন ব্যাঙ্কের সিইও (CEO)-এমডি (MD) চন্দ্রশেখর ঘোষ। সেই উদ্দেশেই ৯ জুলাই বন্ধন ব্যাঙ্কের (Bandhan Bank) সিইও ও এমডি পদ থেকে অবসর নিতে চলেছেন চন্দ্রশেখর। শুক্রবার ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়। তবে নতুন দায়িত্ব কী, তা বিবৃতিতে জানানো হয়নি।

২০১৫ সালে চন্দ্রশেখরের হাত ধরেই পথ চলা শুরু করেছিল বন্ধন ব্যাঙ্ক। একটি মাইক্রোফিনান্স (micro finance) সংস্থা থেকে ধীরে ধীরে পূর্ণমাত্রার ব্যাঙ্ক হিসেবে পথ চলা শুরু করে এই বেসরকারি ব্যাঙ্ক। ২০০১ সালে বন্ধন-ব্যাঙ্ক-কোন্নগর এনজিও হিসেবে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। তারপর থেকে প্রায় এক দশক ধরে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এই বেসরকারি ব্যাঙ্ক। টানা তিন বার এই প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব সামলেছেন চন্দ্রশেখর ঘোষ। গত বছরের নভেম্বর মাসেই তিন বছরের জন্য বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও পদে চন্দ্রশেখর ঘোষের নাম মনোনয়ন করে ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ড। কিন্তু সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এবার সেই দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছা অবসরের (voluntary retirement) সিদ্ধান্ত নিলেন চন্দ্রশেখর ঘোষ।

সিইও ও এমডি পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর এবার বৃহত্তর দায়িত্বে আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে চন্দ্রশেখর ঘোষের। এবার বন্ধন গোষ্ঠীর নীতি ও কৌশল নির্ধারণকারী (strategist) হিসেবে কাজ করতে চলেছেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য সরকারের হয়ে রাজস্ব আদায়ের অনুমতি পায় বন্ধন ব্যাঙ্ক। এক্ষেত্রেও মূল উদ্যোগী ছিলেন চন্দ্রশেখর। বর্তমানে ৭৫ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করেন এই বন্ধন ব্যাঙ্কে।৩১ মার্চ ২০২৪-এর পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমানতকারী ও ঋণগ্রস্ত মিলিয়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।