জয়ে ফিরলো মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এদিন পাঞ্জাব এফসিকে হারালো ১-০ গোলে। এই জয়ের ফলে লিগ-শিল্ড জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বাগানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন পেত্রাতোস। তবে এদিন ডাগ আউটে ছিলেন না মোহনবাগানের হেড কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস। অসুস্থ তিনি। এই জয়ের ফলে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল মোহনবাগান। ২০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪২। শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটির সমসংখ্যক ম্যাচে পয়েন্ট ৪৪।

ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। ম্যাচের ৭ মিনিটের সুযোগ নষ্ট করেন পেত্রাতোস । এরপর পালটা আক্রমণ চালায় পাঞ্জাব এফসি। ১২ মিনিটের মাথায় আক্রমণে উঠে পাঞ্জাব। তবে সেই আক্রমণ কাজে লাগেনি। ১৬ মিনিটে মোহনবাগান একটি সুযোগ পেয়েছিল। শুভাশিস বসুর দূরপাল্লার শট বাঁচিয়ে দেন পাঞ্জাব গোলরক্ষক। এরপর একের পর এক আক্রমণে যায় মোহনবাগান। যার ফলে ম্যাচের ৪২ মিনিটে গোল পেয়ে যায় হাবাসের দল। বাগানকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন পেত্রাতোস। তাঁর বাঁ পায়ের বাঁকানো শট পাঞ্জাবের ডিফেন্ডারদের মাঝখান দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। পাঞ্জাব গোলরক্ষক রবি কুমার ঝাঁপ দিয়েও কিছু করতে পারেননি। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে মোহনবাগান।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ঝাঁঝ বজায় রাখে মোহনবাগান। নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে আক্রমণে উঠছিল তারা।তবে রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকে পাঞ্জাব। এরই মধ্যে আক্রমণে ঝাঁপায় পাঞ্জাব । একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জর্ডান গিল। নিজেই নিখুঁত হেড করে মাজসেনকে পাস দেন। মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়ে ফাঁকায় সেই বল গিলের উদ্দেশে ব্যাক হিল করেন মাজসেন। সামনে একা বিশাল কাইথ থাকলেও সেই বল গোলের ধারেকাছে রাখতে পারেননি গিল। এরপর পালটা আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে ব্যর্থ হয় সবুজ-মেরুন।

আরও পড়ুন- এবার হার্দিকের পাশে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, কী বললেন তিনি?
