Saturday, August 23, 2025

দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের পরিণতি যে এমন হবে তা ভাবেননি কখনও। অথচ প্রায় ২০ বছরের বন্ধু হাতিই পিষে মারল তার মাহুতকে। মায়াপুর ইস্কনের ওই মাহুতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া। গুরুতর আহত আরও এক মাহুত। ইস্কন সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের কামরূপের বাসিন্দা ছিলেন ওই মৃত মাহুত সমুদ্র রাভা।
ইস্কন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষ্ণুপ্রিয়া ও লক্ষ্মীপ্রিয়া নামে দুটি হাতি রয়েছে ইস্কন মন্দির চত্বরে। ৩০ বছর বয়সী এই হাতি দুটির প্রায় ২০ বছর ধরে দেখভাল করছেন তাদের মাহুতরা। স্বভাবতই শান্ত বলেই পরিচিত বিষ্ণুপ্রিয়া ও লক্ষ্মীপ্রিয়া। “মায়াপুরের বিভিন্ন শোভাযাত্রায় এই দুটি হাতি অংশগ্রহণ করে থাকে। কখনই কোনওদিনই গোলমাল করেনি”, বলে জানান মায়াপুর ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক গৌরাঙ্গ দাস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মত শনিবারও সন্ধ্যাবেলায় দুই হাতিকে ঘুরতে নিয়ে যান তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু দুই মাহুত। ফিরে এসে প্রতিদিনের মতো তাদের খেতে দিতে যান দুই মাহুত। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। হঠাৎই রেগে যায় লক্ষ্মীপ্রিয়া। সে মাহুত সমুদ্র রাভাকে আক্রমণ করে বসে। মৃত্যু হয় সমুদ্রর। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অন্য মাহুত।
লক্ষ্মীপ্রিয়ার হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।“এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা, আমরা মর্মাহত” বলে জানিয়েছেন মায়াপুর ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক গৌরাঙ্গ দাস। চিকিৎসকরা বোঝার চেষ্টা করছেন, হাতির এমন আচরণের আসল কারণ।






Related articles

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...
Exit mobile version