বিজেপির যোগসাজশে ‘বাংলা বিরোধী’ ষড়যন্ত্র এনআইএ-র!শেষ দেখবে তৃণমূল: চন্দ্রিমা-কুণাল

ভূপতিনগরে বিজেপির যোগসাজশে ‘বাংলা বিরোধী’ ষড়যন্ত্র করেছে এনআইএ!যাদের রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গিয়েছে এনআইএ, তৃণমূল কংগ্রেস সব ধরনের আইনি সহায়তা দেবে । রবিবার ভগবানপুর ২ ব্লকের অন্তর্গত অর্জুননগর অঞ্চলে দলের আঞ্চলিক নেতা ও কর্মীদের নিয়ে একটি প্রতিবাদী সভায় জানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন,তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন,এর শেষ দেখে আমরা ছাড়ব। সবরকমের আইনি সহায়তা দেব আক্রান্তদের। এনআইএ সুপার অনৈতিক ভাবে বিজেপি-র সঙ্গে দেখা করেছেন কি না, টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন কুণাল।

এদিন তিনি বলেন, যে জায়গায় তৃণমূল শক্তিশালী ছিল সেখানকার মানুষ আরও বেশি করে আমাদের সমর্থন করছেন। যাদের রাতের অন্ধকারে এনআইএ তুলে নিয়ে গিয়েছে তাদের সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। কুণাল অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এনআইএ রাত তিনটা থেকে ভূপতিনগর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অথচ স্থানীয় থানাকে জানানো হয়েছে দু ঘন্টা পর। বিজেপির-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ধনরাম সিং তৃণমূলের সাংগঠনিক নেতা এবং বুথ কর্মীদের ধরতে গিয়েছেন। এখন কেন নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে না?সেই প্রশ্নও তোলেন কুণাল।ধনরামকে অবিলম্বে বাংলা থেকে সরাতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।তাঁর দাবি, দেখলে মনে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করতে যাচ্ছে। আসলে রাজনৈতিক শত্রুদের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। উপর থেকে নির্দেশ আসছে কখনও, কখনও এরা গিয়ে নাম দিয়ে আসছে। মাঠ ফাঁকা করতে বলা হচ্ছে। বাংলায় এনআইএ এবং বিজেপির-র আঁতাত চলছে বলে অভিযোগ করেন কুণাল।

তার আরও অভিযোগ, যাকে রাতের অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছে তার স্ত্রী মণি জানাকে পর্যন্ত ধাক্কাধাক্কি করেছে, তার ছেলের উপর অত্যাচার করেছে । এলাকায় ঢুকে এইভাবে আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে।এরপর থেকে এমন ঘটনা ঘটলে মা-বোনেদের শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। যাতে এলাকার মানুষ বুঝতে পারেন, এলাকায় বাইরের কেউ ঢুকেছে। তার সাফ কথা, এন আই অফিসার ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে গিয়ে এই এলাকার নেতাদের তালিকা দিয়ে এসেছে বিজেপি। কাকে কাকে ভোটের আগে তুলে নিয়ে যেতে হবে, সেই তালিকা দেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যেই তার প্রমাণ আমরা পেশ করেছি। মনি জানার স্বামীকে গ্রেফতার করার আগে এন আই এর অফিসারের বাড়িতে। বিজেপি নেতারা গিয়েছিলেন, তার তদন্ত হোক। এর পেছনে শুভেন্দু আছে। আমরা শেষ দেখে ছাড়বো। গ্রেফতারের নামে বাড়ি লন্ডভন্ড করে দিয়ে গিয়েছে। ধৃত বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানার বাড়িতেও যান কুণাল। তাদের পরিবারের পাশে যে তৃণমূল কংগ্রেস আছে সেই আশ্বাসও দেন তিনি।

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, মায়ের চোখের জল যারা ফেলায় তাদের এই বাংলা মেনে নেয় না। যেই ভোট এসে গেছে এখন মনে পড়েছে গ্রেফতার করতে হবে। ২০২২ এর ডিসেম্বরের অভিযোগ, আর এখন গ্রেফতারের কথা মনে পড়ল। কেউ রাতের অন্ধকারে এলে সবাই শাঁখ বাজাবেন উলুধ্বনি দেবেন। সবাই জানবে যে রাতের অন্ধকারে এলাকায় কেউ এসেছে।






Previous articleডিসেম্বরের মধ্যেই আবাসের আবেদনকারীদের প্রথম কিস্তির টাকা: ঘাটালে বিরাট ঘোষণা অভিষেকের
Next articleভূপতিনগরে ‘নিয়মমাফিক’ হানার দাবি NIA-র; পাল্টা ‘জীতেন্দ্র’ প্রশ্ন অভিষেকের