একই কেন্দ্রে ২ প্রার্থী! জোট-ঘোঁটে জেরবার বাম-কংগ্রেস, প্রার্থী-অসন্তোষ বিধানভবনের অন্দরেও

এর কদিন পর থেকে শুরু হয়ে যাবে লোকসভার ভোট গ্রহণ। এখনও বাংলা ৪২ আসনে প্রার্থী দিয়ে উঠতে পারেনি বাম-কংগ্রেস জোট। আসন বোঝাপড়া না হওয়া নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) দিকেই বল ঠেলছে আলিমুদ্দিন (Alimuddin)। এই পরিস্থিতিতে ২৯টি আসনেই প্রার্থী ঘোযণা করেছে বামেরা। ১৩টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, এতে কিন্তু ৪২-এর অঙ্ক মেলেনি। কারণ, ঘাটালে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু সেই ওই আসনে সিপিআই-কে দিয়েছিল সিপিআইএম (CPIM)। ফলে কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়ায় বেজায় চটেছে আলিমুদ্দিন। আর এদিকে, ঘাটালে কংগ্রেস পাপিয়া চক্রবর্তীর (Papiya Chakraborty) নাম ঘোষণা করায় তীব্র অসন্তোষ বিধানভবনের অন্দরে।

শরিকদলের জন্যই ঘাটাল আসন ছেড়ে রেখেছিল সিপিআইএম। কিন্তু এর মধ্যেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বনগাঁ কেন্দ্রে প্রদীপ বিশ্বাস, উলুবেড়িয়ায় প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি আজহার মল্লিক ও ঘাটাল আসনে পাপিয়া চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করা হয়। এতেই বেজায় চটেছে আলিমুদ্দিন। সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য পল্লব সেনগুপ্ত জানান, “এআইসিসি যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে ঘাটাল আসন আছে। এটা সত্যিই খুব অনভিপ্রেত। এখনও যদি কংগ্রেস সংশোধন না করে, তা হলে আমাদের ভাবতে হবে।“ ‌

এদিকে, যে পাপিয়া চক্রবর্তীকে কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী করেছে তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরেই তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পুরনো কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি থেকে সদ্য দলবদল করা পাপিয়া কংগ্রেসের ঐতিহ্যকেই চেনেন না। দলবদলু পাপিয়াকে অবিলম্বে বদল করার দাবি জানান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বিধানভবনে ঘাটালের প্রার্থী এলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এক সময় পাপিয়া-অনুগামী ও বিরোধীদের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি বেঁধে যায়।

এখনও পর্যন্ত ২৯টি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্ট। আর কংগ্রেস দিয়েছে ১৩টি কেন্দ্রে। এদিকে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে দুদিন আগেই বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে সিপিআই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনটি আসনে বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হল না। অর্থাৎ জোট এখন ঘোঁটে পৌঁছে গিয়েছে।