Thursday, August 21, 2025

সরকারি পাসওয়ার্ড জালিয়াতি করে লক্ষ্মীর ভান্ডার! গ্রেফতার অভিজিৎ গাঙ্গুলির বুথ সভাপতি

Date:

Share post:

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পর প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যের মহিলাদের লক্ষ্ণীর ভান্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্পের আওতায় এনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। বাংলার কয়েক কোটি মহিলা এই প্রকল্প থেকে মাসিক অনুদান পেয়ে থাকেন। এপ্রিল মাস থেকে অনুদানের পরিমাণও বেড়েছে।

কিন্তু জালিয়াতি করে লক্ষ্ণীর ভান্ডারের উপভোক্তা হয়ে মাসের পর মাস আর্থিক অনুদান নিয়ে যাচ্ছিলেন এক পুরুষ। তিনি আবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বিজেপির বুথ সভাপতি! হুগলির খানাকুলের বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিজেপির ওই বুথ সভাপতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি লক্ষ্ণীর ভান্ডার জালিয়াতির কথা স্বীকারও করেছেন।

তমলুক লোকসভার অন্তর্গত এই ময়না। যেখানকার বিজেপি বুথ সভাপতি ও তাঁর ছেলে জালিয়াতি করে লক্ষ্ণীর ভান্ডারের টাকা নিজেদের সহ মোট ১২ জন বিজেপির পুরুষ কর্মীর অ্যাকাউন্টে মাসের পর মাস ঢুকিয়ে যাচ্ছিলেন। এবার হাতেনাতে ধরা পড়লেন। এই তমলুকের বিজেপি প্রার্থী স্বেচ্ছাবসর নেওয়া হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। আর তাঁর দলেই ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। তাঁর বুথ সভাপতি জালিয়াতি করছেন। এই জালিয়াতির নৈতিক দায় বিজেপি ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাযের (Abhijit Ganguly) উপর বাতলায়।

ঘটন ঠিক কী? সম্প্রতি ঘটনাটি সামনে আসে। খানাকুলের বেশ কয়েকজন মহিলা লক্ষ্ণীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বিডিওকে। হুগলির খানাকুল-২ নম্বর ব্লকের বিডিও বিষয়টি নাড়াচাড়া করতেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে। দেখা যায়, ওই মহিলাদের ডকুমেন্ট জালিয়াতি করে বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ তার ছেলে ও কয়েকজন পেয়েছিল লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। আর এনিয়ে খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার পুলিশের সহযোগিতায় ময়না-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের বাড়িতে যায় পুলিশ। শ্রীকান্ত বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ডেটা এন্ট্রির কাজ করতেন। শ্রীকান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার হরকুলি গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসের ছেলে। খানাকুল বিডিও অফিসে কাজ করতেন শ্রীকান্ত। তিনি নজের নামে ও বাবার নামে টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ।

শ্রীকান্ত বাড়িতে না থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিডিওর অভিযোগে ভিত্তিতে শ্রীকান্ত দাসের বাবা অর্থাৎ বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে এলাকার গোপাল জানা এবং সনাতন জানা এদের কেও গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার পুলিশের সহযোগিতায় খানাকুল থানার পুলিশ। কারচুপি করে লক্ষ্মীর ভান্ডার টাকা তোলার অপরাধে তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপির বুথ সভাপতি জানিয়েছেন টাকা একাউন্টে ঢুকছে।

spot_img

Related articles

পর্দায় এবার রাজশেখর বসুর জীবন, আসছে ‘পরশুরাম, দ্য আনটোল্ড স্টোরি’

পরিচালক অভিজিৎ পাল ও তাঁর বন্ধুদের প্রযোজনায় আসছে রাজশেখর বসুর (Rajshekhar Basu) জীবন নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র ‘পরশুরাম, দ্য...

নেপালের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে মোদি! চিন-বাণিজ্য ইস্যুতে ‘নতুন’ সীমান্ত সমস্যা

চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য শুরু করতে গিয়ে একের পর এক ধাক্কা ভারতের উপর। একদিকে ভারত চিনের বাণিজ্যিক...

২০৩০-এর আগে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে ৫০ শতাংশ: প্রতিশ্রুতি ParaSafe-এর

স্বাধীনতা দিবসে কলকাতায় রোড সেফটি এক্সপেরিয়েন্স জোন চালু করে পূর্ব ভারতে যাত্রা শুরু করেছে প্যারাসেফ (ParaSafe)। উদ্ভাবনী ও...

আমাদের বেতন কোথায়: নীতীশকে দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা

ভোটমুখী বিহারে মিথ্যে প্রচার চালিয়েই ফের একবার গদি ধরে রাখার চেষ্টায় জেডিইউ (JDU) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)।...