শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর আবহে এবার বিজেপি বিধায়কের “দাদাগিরি”! যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ভিডিও প্রকাশ্যে এনে গ্রেফতারির দাবি তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থেকে এক সরকারি কর্মীর উপর চড়াও হলেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। ওই সরকারি কর্মীকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ। বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের মারমুখি চেহারা সিসিটিভি ফুটেজ ধরা পড়েছে। যা এখন রীতিমতো ভাইরাল।

জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই সরকারি কর্মচারী জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অধীনে কর্মরত। দলবল নিয়ে ওই কর্মীকেই মারধর করেছেন বিজেপি বিধায়ক। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিজের ভাইকে বাঁচাতে গেলে তাঁদের কর্মী অরিন্দম ভৌমিককে বিনা প্ররোচনায় হিংস্রভাবে মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে খনকুলের বিজেপি বিধায়ক।অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়ে এই লুম্পেন সুশান্তকে গ্রেফতার করতে হবে। ভোটের সময় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছেন বিজেপি বিধায়ক। এই অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল

স্থানীয় সূত্রে খবর, খানাকুলের রাজারহাটি এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পিএইচই পাম্পের পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এই নিয়ে চেষ্টাও করা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার। এই আবহে পাম্পের কর্মীরা বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে গিয়ে সেই সমস্যার কথা জানান। অভিযোগ, তারপরও পঞ্চায়েতের প্রধান–সহ খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ তার দলবলকে সঙ্গে নিয়ে ওই পাম্প কর্মীদের উপর চড়াও হয়। আর বেধড়ক মারধর করেন। বিধায়ক নিজে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন, সেই ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। বাঁচাতে গেলে পাম্প অপারেটরের দাদা তথা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী অরিন্দম ভৌমিককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।