সংগঠনের হাল ‘তথৈবচ’! কলকাতায় মোদির রোড শো ঘিরে জটিলতা, ভোটের মুখে ফাঁপরে বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রোড শো (Road Show) ঘিরে জটিলতা! আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের একেবারে শেষ লগ্নে কলকাতায় (kolkata) একইদিনে সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। উত্তর কলকাতা ও দমদম লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে শ‌্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত রোড-শো করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এবার সেই রোড শোর রুট (Road Show Route) নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। তার ঠিক তিন দিন আগে উত্তরবঙ্গে প্রচার সারতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৬ এপ্রিল উত্তরবঙ্গে জোড়া জনসভা করতে পারেন মোদি।

তবে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দলের একাংশ চাইছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকেই এই রোড-শো শুরু হোক। আবার ওই একই দিনে দক্ষিণ কলকাতার হাজরায় সভা করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সভাটি হবে দক্ষিণ কলকাতা ও যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন‌্য। ১ জুন দুই কলকাতা, দমদম, যাদবপুর-সহ ৯টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট রয়েছে। প্রচার শেষ হবে ৩০ মে। প্রচারের শেষলগ্নে কলকাতায় একইদিনে মোদি—শাহর জোড়া কর্মসূচি হতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে, ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে সভা করবেন মোদি। বালুরঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিনই রায়গঞ্জেও বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সভা করবেন মোদি। বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার লোকসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে ১৫টি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কমপক্ষে ১২টি সভা করবেন। তবে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে ক্ষোভ। অধিকাংশ কেন্দ্রেই গেরুয়া সংগঠনের হাল তথৈবচ। আর সেকারণেই মোদি-শাহকে এনে বেশি বেশি সভা করে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে চাইছে বিজেপি। পদ্মের পক্ষে যতটা হাওয়া তোলা যায় সেই চেষ্টায় নেমেছেন বঙ্গ-বিজেপির নেতৃত্ব। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেও আখেরে লাভের লাভ কিছুই হবে না। মানুষ বিজেপির আসল চেহারা জেনে গিয়েছে। আর সেকারণেই বাংলার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কিছুই ফায়দা তুলতে পারবেন না মোদি-শাহ।

Previous articleসিনেমায় নামছেন না কেন? মোদিকে মোক্ষম খোঁচা মমতার, কমিশন-এজেন্সিকে তোপ
Next articleএবার হার্দিকের পাশে বিরাট, দর্শকদের জয়ধ্বনি দেওয়ার অনুরোধ কোহলির