খাসতালুকে প্রচারে শুনলেন ‘গো ব্যাক’! মেজাজ হারিয়ে যুবককে চড় অধীরের!

শনিবার ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ চলাকালীন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা অধীরকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ দিতে থাকেন

ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় সবচেয়ে বড় চমক ছিল বহরমপুরে ইউসুফ পাঠান। সেইদিন থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এরপর ইউসুফের মিটিং মিছিল আরও হতাশা গ্রাস করেছিল পোড়খাওয়া অধীরকে।

তবুও নিজের মতো করে ভোটের প্রচার সারছিলেন বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ। আজ, শনিবারও খাসতালুকে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই তাল কাটলো। হাতের তালুর মতো চেনা বহরমপুর পুরসভা এলাকার গান্ধী কলোনি থেকে বিটি কলেজ মোড় পর্যন্ত জনসংযোগ করার সময় চরম অস্বস্তিতে পরে যান অধীর চৌধুরী। পাঁচ বারের সাংসদকে ঘিরে উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেললেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তেড়ে গিয়ে এক জনকে চড় মারার অভিযোগ উঠল বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীরের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট, অধীর তেড়ে গিয়ে চড় মারছেন এক যুবককে। পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

আজ, শনিবার ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ চলাকালীন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা অধীরকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ দিতে থাকেন। বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থীর গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অধীর। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় এক তৃণমূল কর্মীকে হুমকি দেন তিনি। তাঁকে ধাক্কা দেন। চড়ও মারেন।

অন্যদিকে, অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে কংগ্রেস প্রার্থীকে উদ্ধার করে তারা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। জনপ্রিয়তা তলানিতে। জনভিত্তি হারিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন অধীর। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে শাসকদল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থেকে অধীর চৌধুরী গাড়ি থেকে নেমে এসে এক জনের গায়ে হাত তোলেন। ওঁর কোনও অধিকার নেই এক জনের গায়ে হাত তোলার। ওঁকে ভুল স্বীকার করতে হবে।’’