ভোটের মুখে হাস্যকর “শ্বেতপত্র” প্রকাশ বিজেপির! নেই অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাব

অবশেষে লোকসভা ভোটের মুখে “শ্বেতপত্র” প্রকাশ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। “শ্বেতপত্র ডট ইন” নামের ওই পোর্টালে দেশের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে কোন প্রকল্পে মোদি সরকার কত টাকা দিয়েছে তার বিস্তারিত ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সেখানে আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজে বাংলার কোনও খতিয়ান উল্লেখ নেই। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এমন হাস্যকর “শ্বেতপত্র” প্রকাশ করে বাংলার বুকে নিজেদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিল বিজেপি। বরং, ১০০ দিনের টাকা ও আবাস যোজনা নিয়ে পরোক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকেই মান্যতা দেওয়া হল বিজেপির শ্বেতপত্রে! যা ভোটের মুখে তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।

একের পর এক জনসভা থেকে মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসছেন, ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গত তিন বছরে বাংলাকে একনয়া পয়সাও দিয়ে থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেখাক। অভিষেক আরও বলেছিলেন, বিজেপি যদি প্রমাণ করতে পারে যে বাংলায় এই দুটি প্রকল্পে কেন্দ্র ১০ পয়সাও দিয়েছে তাহলে তিনি তৃণমূলের হয়ে আর প্রচার করবেন না!

এর মাঝে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়, বাংলায় বিভিন্ন প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং রাজ্যের অনীহায় কোন কোন প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। গত ১৪ মার্চ কেন্দ্রের ওই বিজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে টুইটে অভিষেক লেখেন, “মিথ্যাচার করার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনগণের টাকা নষ্ট করছে। আমি বিজেপি নেতৃত্বকে আমার সঙ্গে মুখোমুখি তর্কে বসার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।” এরপর থেকে অভিষেক তাঁর প্রতিটি সভাতেই দুটি পোডিয়াম তৈরি রাখছেন। মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠে সেই পোডিয়াম দেখিয়ে অভিষেক বললেন, “বিজেপির কেউ এসেছেন? আমি দুটো পোডিয়াম রেখেছিলাম।”

অবশেষে কেন্দ্র শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে আবাস বা ১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গে কোনও উল্লেখ নেই। ফলে বাংলার ক্ষেত্রে বিজেপির এই “শ্বেতপত্র” হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছুই নয়।

 

Previous article‘সব ভুল বোতাম টিপেছেন’! ভোটের মুখে মোদির ‘Key Board’ আসল রহস্য ফাঁস তৃণমূলের
Next articleকোন বোলারের বল আতঙ্ক ছিল বিরাটের কাছে, জানালেন নিজেই