বিজেপির ক্যাডারের মতো কাজ! সন্দেশখালিকাণ্ডে NHRC রিপোর্টকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ কটাক্ষ তৃণমূলের

সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeskhali) ফের প্রকাশ্যে কেন্দ্রের মোদি সরকারের (Modi Govt) ‘ভাঁওতাবাজি’র রাজনীতি। এবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকেই সামনে আনল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট (NHRC Report)। শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে রিপোর্ট পেশ করে জানানো হয়, সন্দেশখালির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। যদিও কমিশনের এই রিপোর্টকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজেপির ক্যাডারের মতো কাজ করছে। লোকসভা  নির্বাচন সামনে আসতেই পায়ের তলার মাটি হারিয়ে একাধিক তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে পুরো বিষয়টির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা মোদি সরকারের।

এদিন সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে করতে ১২ দফা সুপারিশ করেছে কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্য প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে জানানোর নির্দেশ কমিশনের। সুপারিশগুলির মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে সন্দেশখালিতে আইনের শাসন সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা, অপধারমূলক কাজের সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়া, দ্রুত অভিযোগগুলির নিষ্পত্তি করা এবং যৌন অপরাধের শিকার হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করা। তবে ভোটের মুখে আচমকা শান্ত সন্দেশখালিকে অশান্ত করার চেষ্টায় নতুন করে উঠেপড়ে লাগল গেরুয়া শিবির। আর সেকারণেই মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সামনে এনে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশনের সুপারিশ মতো পুলিশকে যেখানে একাধিক শর্ত পালনের কথা বলা হচ্ছে, ভোটের মুখে শান্ত সন্দেশখালিতে এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

তবে লোকসভা নির্বাচনের মুখে সন্দেশখালি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গতি বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে জমি, ভেড়ি দখলের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এসব ছাড়াও সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের যেসব ধারাবাহিক অভিযোগ উঠেছিল, তার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তার ভিত্তিতে সুপারিশও করা হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে কমিশনের একটি দল। তার ভিত্তিতেই মোট ১২ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

Previous articleবেআইনি নির্মাণে কড়া হচ্ছে পুরসভা! জামিন অযোগ্য ধারা আনতে নবান্নকে প্রস্তাব
Next articleকেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ ব্যবহারে প্রতি জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত কমিশনের