আগামী শুক্রবার প্রথম দফার নির্বাচনে বাংলার তিন আসনে নির্বাচন। তার মধ্যে একটি জলপাইগুড়ি। সেই এলাকাতেই লক্ষ লক্ষ টাকা বিজেপির নেতা পৌঁছে দিচ্ছিলেন বিজেপির নেত্রীকে। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু অবস্থায় বিজেপির নেতা-নেত্রীদের এত টাকার লেনদেন কেন, প্রশ্ন তৃণমূলের। সোশ্যাল মিডিয়ায় টাকা সহ ধৃত বিজেপি আহ্বায়কের ছবি দিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে।

শনিবার রাতে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময়ে উদ্ধার হয় ৯ লক্ষের বেশি টাকা। মালবাজারের বিজেপি আহ্বায়ক রাকেশ নন্দীর গাড়িতে তল্লাশি করে প্রায় ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। এছাড়াও জলপাইগুড়ি মহিলা মোর্চার সভাপতি দীপা বনিকের গাড়ি তল্লাশি করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জেরায় বিজেপি নেতা রাকেশ নন্দী দাবি করেন তিনি ওই টাকা জেলা বিজেপি মহিলা মোর্চা সভাপতির কাছেই নিয়ে যাচ্ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের প্রশ্ন, “নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু অবস্থায় ও নির্বাচনের পাঁচদিন আগে কী করতে চাইছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব? কোনও নথি ছাড়াই বিশাল পরিমাণ প্রায় ৯.৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন তাঁরা। অতয়েব বাংলা বিরোধী বিজেপি জেনে রাখুন মানুষের রায় আপনি কিনতে পারবেন না। ৪ জুন বাংলা থেকে আপনাদের বিসর্জন অবশ্যম্ভাবী।”
