Saturday, August 23, 2025

উন্নয়নে এগিয়ে তৃণমূলই, কোচবিহারের সভা থেকে খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী

Date:

জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বরাবরই এগিয়ে তৃণমূল। সোমবার কোচবিহারের সভা থেকে রাজ্যের উন্নয়নের সেই খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন বিগত ১১ বছরে রাজবংশী, কামতাপুরীদের জন্য কী কী উন্নয়ন করেছে তাঁর সরকার। আলিপুরদুয়ারে জুমলাবাজ বিজেপি শুধুই ভূরিভূরি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উল্টোদিকে, বহু জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে এসে উত্তরের সব জেলায় উন্নয়ন-কর্মযজ্ঞ চালিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০০ স্কুল করেছি রাজবংশীদের জন্য। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। আরও বড় ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে। চিলা রায় মূর্তি বানিয়েছি, রাজবংশী-কামতাপুরী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছি আমরা। একইসঙ্গে রাজবংশী কালচারাল বোর্ড এবং কামতাপুরী বোর্ডও বানিয়েছে তাঁর সরকার। তৈরি করা হয়েছে জয় সেতু, ভাওয়াইয়া সেতু। কোচবিহারে হেরিটেজ টাউনও তৈরি করেছেন তাঁরা।

মুখ্যমন্ত্রী উত্তরের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ১১ লক্ষ লোককে আমরা ঘর করে দেব। দুর্যোগে যাদের ঘর ভেঙে গেছে সেগুলোও আমরা তৈরি করে দেব, এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি। বিজেপির মুখোশ খুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা দেশ বেচে দিচ্ছে। চা বাগান খুলবে বলেও খোলেনি। চা বাগান আমরা খুলেছি। আমরা চা বাগানের পাট্টা দিয়েছি। চা সুন্দরী প্রকল্প করেছি। কোচবিহারে এয়ারপোর্টও আমরা তৈরি করে দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছিলাম সিঙ্গেল ইঞ্জিন না ডবল ইঞ্জিন করো, যাতে নিরাপত্তা থাকে। তোমার সরকারের ডবল ইঞ্জিনের দরকার নেই। মানুষের ডবল ইঞ্জিন করো৷

তিনি আরও বলেন, ১৯৬৬ সাল থেকে চ্যাংড়াবান্ধা মালবাজার লাইন বন্ধ ছিল, আমি চালু করেছি। কারণ চ্যাংড়াবান্ধা মালবাজার ওই এলাকার মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনে কোচবিহারের নাম জ্বলজ্বল করে জ্বলবে আর বিজেপি হিংসা করবে। জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে। কোচবিহারের মানুষ এগিয়ে যাবে। রাজবংশীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি থাকতে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার প্রজেক্ট দিয়েছি। আজকে বাংলা থেকে সব কেড়ে নিয়ে চলে যাচ্ছো। বদনাম করছ এটা হবে না৷ রাজবংশীদের এবং ওপার থেকে আসা ভাইদের বলব আপনারা সবাই নাগরিক। আমি নাগরিক হলে আপনারাও ঘরের ভাই-বোন আপনারাও নাগরিক। বাংলা হিন্দি ভাষীরা নাগরিক। মতুয়া-কামতাপুরিরা নাগরিক। কারণ আপনাদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী জেতে৷

আরও পড়ুন- নির্বাচন থেকে মোদিকে বাতিল করার আবেদন, দিল্লি হাইকোর্টে মামলা

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version