আইএস জঙ্গিদের টার্গেটে ভিভিআইপিরা, নির্দেশক ‘ভাই’য়ের খোঁজে গোয়েন্দারা

এবার এই ‘ভাই’কে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা

কোনও সমাবেশে তাঁদের উপর হামলা চালানোর ছক কষতে শুরু করেছিল আইএস জঙ্গিরা। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল‌্যকর তথ‌্য পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও এনআইএ। জঙ্গি জেরায় প্রকাশ্যে এসেছে যে ভোটের আগে আইএস জঙ্গিদের টার্গেটে ছিলেন কয়েকজন ভিআইপি ও ভিভিআইপি। গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, কোন রাজ্যে এই নাশকতা ঘটানোর ছক কষা হচ্ছিল এবং কোন কোন ভিআইপি জঙ্গিদের টার্গেটে ছিলেন। জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে, এই ব‌্যাপারে জঙ্গি সদস‌্যদের মদত যোগাচ্ছিল এমন এক আইএস জঙ্গি নেতা, যে তাদের কাছে ‘ভাই’ নামে পরিচিত। এবার এই ‘ভাই’কে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত,বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণের ঘটনায় কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল মতিন আহমেদ তাহা ও মুসাভির হুসেন শাজিব নামে দুই আইএস জঙ্গিকে। তাদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, কলকাতা ও রাজ্যের অন‌্য জেলায় তাদের লিংকম‌্যান কারা। সেখানেই উঠে এসেছে, ‘ভাই’ নামে এক ব‌্যক্তির নাম। ওই ব্যক্তি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা হতে পারেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা । এমনকী, কোনও সমাবেশে নাশকতা ঘটানোর পর পালানোর রাস্তাও খোঁজা শুরু করে দিয়েছিল ধৃত জঙ্গি নেতা আবদুল মতিন। নাশকতার পর তারা বাংলাদেশ বা নেপাল হয়ে পালানোর ছক কষে। পালানোর রাস্তা খুঁজতে তারা কয়েকদিনের জন‌্য ত্রিপুরায় যায় বলে খবরও এসেছে গোয়েন্দারা জেনেছেন।

জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পর থেমে থাকেনি দেশের আইএস জঙ্গি সংগঠন। লোকসভা ভোটের আগে প্রত্যেকটি রাজ্য়ে যাতায়াত বেড়েছে ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের। বহু জায়গায় তাঁরা সমাবেশ করছেন। সেই সুযোগটাই কাজে লাগানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। এর জন‌্য এই রাজ‌্য-সহ উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানার মতো কয়েকটি রাজ‌্যকে বেছে নিয়েছিল তারা। ভোটের আগে ভিআইপিদের সভা ও সমাবেশ নিয়ে জঙ্গিরা খোঁজখবর নিতে শুরু করেছিল। বেঙ্গালুরুরও আগে মেঙ্গালুরুতেও অটোর ভিতর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গি আবদুল মতিন।

গোয়েন্দারা আরও জেনেছেন, আইএস জঙ্গি সংগঠনের ‘অ‌্যাসেট’ আবদুল মতিন ও সঙ্গী মুসাভির হুসেন কোনও জায়গায় আইইডি বা বিস্ফোরক বসিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে অত‌্যন্ত দক্ষ। তাই তাদের সাহায্যেই ঘটানো হত বিস্ফোরণ। কোনও সমাবেশের লাউডস্পিকার বা মঞ্চের কাছে থাকা যন্ত্রপাতির মধ্যে তারা বিস্ফোরক ‘প্ল‌্যান্ট’ করতে পারত, এমন সম্ভাবনা গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। অন‌্য জঙ্গি নেতা মোজাম্মেল শেরিফ এনআইএ-র হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ফলে আইএস নেতারা বিস্ফোরক সংগ্রহ করার ভারও আবদুল মতিনের উপর দেয়। সেই তদন্ত করতে গিয়েই গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ‘ভাই’য়ের নির্দেশেই তারা বিপুল ক্রিপ্টোকারেন্সি নগদ টাকায় পরিবর্তন করে।




Previous articleরাখা যাবে না অস্ত্র, বাজানো যাবে না ডিজে! শর্তসাপেক্ষে রামনবমীর মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের
Next articleইডিকে শাহজাহানের দেওয়া বয়ান প্রত্যাহারের পিটিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত