ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেবে ইজরায়েল: ডেভিড ক্যামেরন

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইজরায়েল। ইরান যখন একদিকে বলছে যে তাদের ভূখণ্ডে ছোটখাটো কোনও আক্রমণও বিশাল ও কঠোর প্রক্রিয়া বয়ে আনবে—সে রকম একসময়ে বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের প্রতিশোধ সম্পর্কে বললেন ডেভিড ক্যামেরন। ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক দুজনেই আজ ইজরায়েলের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পৃথক সফরে ইজরায়েলে ছিলেন। ইজরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে থাকা ইউরোপের এই দুই দেশই সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।

ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ডেভিড ক্যামেরন বলেন, এটা পরিষ্কার যে ইজরায়েলিরা প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আশা করছি, তারা এই প্রতিশোধ এমনভাবে নেবে যাতে উত্তেজনা বেশি না বাড়ে।

বিমান ও নৌবাহিনীর সহায়তায় ইজরায়েলের যে কোনও আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। আজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ও শীর্ষ সমর কর্তারা এ কথা বলেছেন।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাতে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইজরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইজরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।
জবাবে গত শনিবার ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

শনিবার রাতে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইজরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।

প্রতিক্রিয়ায় ইজরায়েলও বেশ তর্জন-গর্জন করছে ইরানে হামলার। দেশটির সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্ব একাধিকবার ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। তবে ইরানে কবে ও কখন হামলা চালানো হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা। আজ বৃহস্পতিবার এই মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইতিমধ্যে ইজরায়েলকে যে কোনও প্রতিশোধ নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ রাইসিকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, শনিবারের হামলাটি ছিল অত্যন্ত সীমিত মাত্রার। ইরান যদি আরও বড় হামলা চালাতে চায়, তবে জায়নিস্ট সরকারের আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।




Previous articleভোটের কাজে বেআইনি হস্তক্ষেপ! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের
Next article২২ এপ্রিল থেকেই রাজ্যে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি, জারি বিজ্ঞপ্তি