দুই চোখ ফোলা, যেন এখনই ঠিকরে বেরিয়ে আসবে। সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত। ঠোঁট দুটো আটকে রয়েছে আঠা দিয়ে। কোনও ক্রমে পাঁচ কিলোমিটার ছুটে থানায় এসে পৌঁছান ২৩ বছরের এক যুবতী। মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) গুণা (Guna) গ্রামের ওই যুবতীকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। আর সেখানেই সে তুলে ধরেন হাড়হিম করা অত্যাচারের কথা। ধর্ষণ থেকে মারধর, এমনকি সম্পত্তির জন্য লাল লঙ্কার গুঁড়ো চোখে ছড়িয়ে দিতেও কসুর করেনি অভিযুক্ত যুবক। ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় (Cantonment police station) ধর্ষণ, মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

গুণার বাসিন্দা ওই নাবালিকার অভিযোগ, যুবতীর মা বাইরে যাওয়ায় প্রতিবেশি এক যুবক তাঁকে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সেখানে বারবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য জোর করে ওই যুবক। বিয়ের পাশাপাশি যুবতীর জমি ও সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। যুবতী মেনে না নেওয়ায় শুরু হয় তাঁকে মারধর। আঘাতের জায়গায়, কখনও চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় অভিযুক্ত যুবক। অত্যাচারের সময় যাতে চিৎকার করতে না পারে তার জন্য যুবতীর ঠোঁটে আঠা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার রাতে অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। রাতে যুবক ঘুমিয়ে পড়লে কোনওক্রমে পালিয়ে আসে যুবতী। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ছুটে থানায় এসে পৌঁছেও আঠা দিয়ে ঠোঁট আটকানো থাকার দরুণ কিছুই বলতে পারেনি যুবতী। তাঁর অবস্থা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পুলিশ আধিকারিকরাও। তাঁকে আগে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
