Thursday, August 28, 2025

প্রধানমন্ত্রীর ‘ট্রেলারে’র ধাক্কায় দেশের মানুষের নাভিশ্বাস, পুরো সিনেমায় কী হবে?

Date:

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের ক্ষমতা আসার পর যে সিনেমা দেখানোর বার্তা দিচ্ছেন, তার আসল ছবিটা কী হবে, রানাঘাটে নির্বাচনী প্রচার থেকে সেটাই তুলে ধরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ বছরে সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে যেভাবে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে, এবং একবারও এলাকা থেকে জিতে যাওয়ার পরে সেখানে ফিরে তাকায়নি, তাকেই কটাক্ষ করে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, যে সিনেমার ট্রেলার এমন, সেই সিনেমা কেমন হতে পারে।

বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে প্রধানমন্ত্রীর ‘ট্রেলার’কে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “দশবছর আগে কী পরিস্থিতি দেশে ছিল, আজ কী পরিস্থিতি হয়েছে। গরীব মানুষ রান্নায় জিরে ব্যবহার করে। সেই জিরেতে ১৮ শতাংশ জিএসটি। আর বড়লোকের বাড়িতে থাকে হিরে, সেই হিরেতে জিএসটি শূন্য। প্রধানমন্ত্রী জম্মু কাশ্মীর থেকে সভা করে বলেছেন দশ বছরে আমরা ট্রেলার দেখিয়েছি। সিনেমাটা পাঁচ বছরের মধ্যে দেখাব। ২০২১৪ থেকে ২০২৪ প্রধানমন্ত্রী ট্রেলার দেখিয়েছেন। ২০২৪ থেকে ২০২৯ আপনি সিনেমা দেখবেন।” আর এরপরেই তিনি দশ বছরে ডিম থেকে চা পাতার দাম কীভাবে বেড়েছে, তার উদাহরণ তুলে ধরেন। ঠিক যেভাবে তুলে ধরেন ৩ টাকার ডিম এই ট্রেলার পর্যায়ে ৭ টাকা হয়েছে।

রানাঘাট থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। নিজের কেন্দ্রেই মানুষের বিপদে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে মোদির প্রতিশ্রুতির জিরো ওয়ারান্টিকেই তুলে ধরেছেন জগন্নাথ, সেই প্রমাণই তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করিয়ে দেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বিজেপির প্রার্থীকে জিতিয়ে দিন। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অর্থ আমাকে ভোট দেওয়া। রানাঘাটবাসী গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীকে কবার আপনার বিপদে, দুঃখে, প্রয়োজনে পাশে পেয়েছেন?”

রবিবার রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর সমর্থনে দত্তফুলিয়ায় জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারের গরমকে উপেক্ষা করে মাঠ এমনভাবে ভরিয়ে দেন স্থানীয় মানুষ, অনেকে মাঠ পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেননি। এই জনসমুদ্রের কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেন রানাঘাটের বিজেপি বিধায়কদের রূপ। তিনি দাবি করেন, “কেউ যদি দেখাতে পারেন পাঁচ বছরে জগন্নাথ সরকার দিল্লি থেকে কোনও সাহায্য এনেছে। বিজেপির চারজন বিধায়ক রয়েছে, কেউ যদি দেখাতে পারে এদের নেতৃত্বে দিল্লি থেকে ৫ পয়সা এসেছে, মানুষের কোনও উপকার হয়েছে, একটা মানুষের জন্য কোনও পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে, তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইতে যাব না।” এভাবেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মোদির প্রতিনিধি বিজেপি প্রার্থীকে রানাঘাটের মানুষের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেন অভিষেক।

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version