সমস্ত চাকরিপ্রার্থীর তালিকা নিয়ম মেনেই পেশ! হাই কোর্টের অভিযোগের পাল্টা SSC চেয়ারম্যানের

যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High court) হলফনামা জমা করেছিল এসএসসি (SSC)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ফের এমনই দাবি করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার (Siddharth Majumder)। এদিন তিনি সাফ জানান, “১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই হলফনামায় আদালত সন্তুষ্ট হয়নি। আর সেকারণেই আদালতের নির্দেশে ফের ১৮ ডিসেম্বর ফের হলফনামা জমা দেওয়া হয়। এরপর ২০ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। এর আগেও এসএসসির তরফে দাবি করা হয়েছিল, তারা যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দিয়েছিল।

গত সোমবারই নিয়োগ মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন বাংলার ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। নথি অনুযায়ী, এই সর্বমোট চাকরিহারাদের মধ্যে পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এরপরই প্রশ্ন উঠছিল, গোটা প্যানেল কেন বাতিল? সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট বলেছিল, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বারবার চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকার ও এসএসসির কাছে। সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন এসএসসি চেয়ারম্যান।

তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০ তারিখ এই হলফনামা দেওয়ার পর আমার মনে হয়, আমার আরেকটু ক্ল্যারিফাই করার ব্যাপার রয়েছে। কিছু বাদ গিয়ে থাকতে পারে। তাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ৫ জানুয়ারি আমি আরেকটা হলফনামা দিই। তাতে র্যাঙ্ক জাম্পিংয়ের কথা বলেছিলাম, পাশাপাশি আদালতকে জানাই, যে ১৮৩ জনের কথা আগের হলফনামায় বলেছিলাম, তাদের মধ্যে অনেকের রুল ১৭ প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে, বাকি যে ৬১ জন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এমন ৪০ জন রয়েছেন, তাঁদের নাম সিস্টেমে রয়ে গিয়েছে, কিন্তু তাঁরা ইন্টারভিউ দেননি, তাঁদের নাম প্যানেল বা মেধাতালিকায় নেই। সেটাও বিস্তারিত জানাই। এটা নবম দশমের কথা। এসএসসি চেয়ারম্যান আরও জানান, প্রত্যেকেরই নিয়োগ আদালত বাতিল করে দিয়েছিল। গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রে ১০ মার্চ, ২০২৩, গ্রুপ ডি ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তারিখ আদালত চাকরি বাতিল করে।

তবে শুধুমাত্র এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এদিন এসএসসি চেয়ারম্যান আরও জানান, গত দুদিন ধরে প্রচুর ফোন, মেসেজ পাচ্ছেন তিনি। অচেনা নম্বর থেকেও ফোন মেসেজ পাচ্ছেন। প্রত্যেকের একটাই জিজ্ঞাস্য, SSC কোনও তথ্য দেয়নি যোগ্য অযোগ্যদের ব্যাপারে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সবাইকে জানিয়েছিলাম, আমরা হাইকোর্টের সমস্ত নির্দেশ মেনেই হলফনামা জমা করেছিলাম।

Previous articleইটের জবাব পাটকেল, অগ্নিমিত্রাকে “তারকাটা মহিলা” সম্বোধন দেবাংশুর!
Next articleকোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের উৎকর্ষ কেন্দ্র চালু আইইএম-এর