মাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার, প্রথম দশে কলকাতার একজন! উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

শীর্ষে রয়েছে কালিম্পং, তারপরই পূর্ব মেদিনীপুর, তৃতীয় স্থানে কলকাতা।

২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল (Madhyamik Result) প্রকাশের পর দেখা গেল অন্যান্য বছরের মধ্যে এবারও জেলার জয়জয়কার। শীর্ষে রয়েছে কালিম্পং, তারপরই পূর্ব মেদিনীপুর, তৃতীয় স্থানে কলকাতা। সকল উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তোমাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও জানাই আমার অভিনন্দন । তোমাদের আগামী দিনগুলি সাফল্যমন্ডিত হোক, এই প্রার্থনা করি।’

বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Madhyasikhha Parsad) সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় (Ramanuj Gangopadhyay) জানান, এবার মোট ৯ লক্ষ ১০ হাজার ৫৯৮ জন পরীক্ষা দিয়েছেন, এর মধ্যে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৯০০ ছাত্র এবং ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৬৯৮ জন ছাত্রী। চলতি বছরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ যা গত বছরের থেকে সামান্য হলেও বেড়েছে। সাফল্যের নিরিখে যেমন ছেলেদের টেক্কা দিয়েছে মেয়েরা তেমনই শহর কলকাতাকে ছাপিয়ে গেছে জেলাগুলো।

চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের চন্দ্রচূড় সেন।দ্বিতীয় স্থানে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু। তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ৩ জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের উদয়ন প্রসাদ, বীরভূম থেকে নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের নৈঋত রঞ্জন পাল। মেধা তালিকায় কলকাতার একমাত্র প্রতিনিধি কমলা গার্লস হাই স্কুলের সোমদত্তা সামন্ত। ৬৮৪ নম্বর পেয়ে তিনি দশম স্থান অধিকার করেছেন। স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। তবে রেজাল্ট প্রকাশ আসার পরই কলকাতার স্কুল গুলোর সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন বর্তমানে শহরের মেধাবী ছাত্রদের একটা বড় অংশ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল পঠনপাঠন করে থাকে। অন্যদিকে জেলায় আজও বাংলা মিডিয়ামই ভরসা। তাই মাধ্যমিকের ফলাফলে, এর প্রভাব কিছুটা দেখা যায়। এবারের মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১১ জন, AA পেয়েছে ৯ হাজার ৯৬১ জন, A+ পেয়েছে ২৪ হাজার ৬৪৩ জন, A পেয়েছে ৮৩ হাজার ৮০৭ জন।

 

Previous articleভিউ ৫ কোটি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল “জনগণের গর্জন বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন”!
Next articleছাপ্পা-রিগিং রুখতে উদ্যোগ কমিশনের, এবার বুথে বুথে AI নজরদারি!