রাজভবনের তরুণী অস্থায়ী কর্মীর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে শুক্রবার, আসানসোলের সভা থেকে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, রাজ্যপাল তাঁর মেয়ের বয়সী এককর্মীর শ্লীলতাহানি করেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যৌন হেনস্থায় জড়িতদের লোকসভায় প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই বিজেপির থেকে নারী সুরক্ষার কথা শুনতে হবে!

আসানসোলের রানিগঞ্জে সিয়ারসোল রাজ গ্রাউন্ডে এদিন দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে প্রচারসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, বিজেপিতে থাকা যে ব্রিজভূষণ সিং পদকজয়ী কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত, বিজেপি তাঁর ছেলেকে উত্তরপ্রদেশে টিকিট দিয়েছে। লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলা অজয় তেলি মিশ্রকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করেছে। যে প্রজ্জ্বল রেভান্নার হয়ে মোদিজি সভা করেছেন, তিনি ২৮০০ মেয়ের জীবন নষ্ট করেছেন। এরপরেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, রাজভবনে মেয়ের বয়সী একজন অস্থায়ী কর্মীর শ্লীলতাহানি রাজ্যপাল করেছেন বলে অভিযোগ। ৪ বছর ধরে তিনি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে রাজভবনে কাজ করতেন। ওই ছোট বোন থানায় গিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি অভিযোগ করেছেন। এই বিজেপির থেকে নারী সুরক্ষার কথা শুনতে হবে! গর্জে ওঠেন অভিষেক।
তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) আমলেই তাঁর রাজ্যে উন্নাও, হাথরাস, লখিমপুর খেরির মতো ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, মোদি দেশের সবচেয়ে ব্যর্থ, সাম্প্রদায়িক প্রধানমন্ত্রী। আর যোগী সবচেয়ে অযোগ্য, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী।

এর পরেই আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, বাংলার আসার আগে হোমওয়ার্ক করে আসুন। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বেশি নিরাপদ শহর কলকাতা। তফশিলিদের উপর অত্যাচারে দেশের মধ্যে প্রথম উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয় রাজস্থান, তৃতীয় মধ্যপ্রদেশ, চতুর্থ বিহার, পঞ্চম মহারাষ্ট্র। সবগুলিও বিজেপিশাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকার। অভিষেকের অনুযোগ, বিজেপি আমলে তফশিলিদের উপর অত্যাচারের ১৩ হাজার ঘটনা নথি ভুক্ত হয় এইসব রাজ্যে। আর বাংলায় হয় ১০৮। ভবিষ্যতে যাতে সেটাও না হয় বাংলার সরকার সেটাই চেষ্টা করবে। অভিষেকে অভিযোগ, বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বিজেপি।
