ভোটে জয় পেতে জুমলাবাজি বিজেপির হাতিয়ার, বীরভূমে তোপ মমতার

বীরভূমে দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার মঞ্চে বিজেপির জুমলার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রীতিমতো জোরালো হুঙ্কার মমতার। তাঁর কথায়, আজ বিজেপি বড় বড় কথা বলছে আর বাংলার বদনাম করছে। বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হটাও। আমি বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় থাকবে সারাজীবন। তোদের ক্ষমতা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা চুল স্পর্শ করার।দেশ লুট করে নিয়েছে বিজেপি ।‌বিজেপি বাংলার বদনাম করছে । বাংলা থেকে তৃণমূলকে সরাতে চায়। নোট বন্দি সময় জনগণের টাকা লুট করেছে। বাঁচতে চাইলে বিজেপিকে সরান। মোদি মিথ্যে প্রচার করে। তিন বছর ১০০ দিনের টাকা দেয়নি ।‌ভোটে বিজ্ঞাপনের নামে কোটি কোটি টাকা প্রচার করছে । কোথা থেকে আসছে এত টাকা? গরীবের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। জনগণের টাকা চুরি করেছে। দিল্লির সরকার টাকা বন্ধ করে রেখেছে।
৬৯ লক্ষ পরিবারকে ১০০ দিনের টাকা দিয়েছে রাজ্য। দু বছরের রেশনের কোনও টাকা দেয়নি। মোদি- শাহ মিথ্যে প্রচার করছেন। তার স্পষ্ট কথা,এত অত্যাচারী প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। ২৬ হাজার চাকরি খেয়েছে বিজেপি। আমরা চাকরিহারাদের পাশে আছি। ভুল করলে সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। সিএএ এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করব আমরা। বিজেপি কে বক ধার্মিক বলেও কটাক্ষ মমতার।‌

সোমবার দুপুরে সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মমতা বলেন, রাঙামাটি, লালমাটির দেশ এই বীরভূম। অনেক সতীপীঠ আছে এখানে। বীরভূম জেলার ভবিষ্যৎ অনেকই উজ্জ্বল। দেউচা পাচামির মতো দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি হচ্ছে এখানে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
মমতা বলেন, আমরা নিজেদের ক্ষমতার জোরে একটা কর্মশ্রী প্রকল্প করছি। যেখানে জব কার্ড হোল্ডাররা বছরে ৫০ দিনের কাজ পাবেন। সব টাকা আমরা দেব।তিনি বলেন, বীরভূম জেলার ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। দেউচা পচামিতে হচ্ছে কয়লা খনি। বাংলার ১০০ বছর বিদ্যুতের অভাব হবে না। ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পানীয় জলের প্রকল্প হয়েছে। ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অজয় নদীর ওপর সেতু তৈরি হয়েছে। ৪৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কান্দি মাস্টার প্রকল্প হয়েছে। রামপুরহাট শান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজ হয়েছে। বীরভূমে নতুন আটটি থানা হয়েছে। উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে মমতা বলেন, ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে দেউচা পচামিতে। দেউচা পচামিতে কেউ বেকার থাকবে না। তারাপীঠের উন্নয়ন হয়েছে। কঙ্কালীতলা বক্রেশ্বরে ট্যুরিজম সার্কিট।




 

 

Previous articleতৃতীয় দফার ভোটের ডিউটিতে এসে মালদহে অস্বাভাবিক মৃত্যু পুলিশকর্মীর!
Next articleসন্দেশখালির ‘সন্দেশ’, বাংলা বিরোধীদের খেলা শেষ: মঙ্গলকোটে গর্জন অভিষেকের