সন্দেশখালির ‘সন্দেশ’, বাংলা বিরোধীদের খেলা শেষ: মঙ্গলকোটে গর্জন অভিষেকের

বোলপুরে জয়ের ব্যবধান বৃদ্ধির লড়াই: অভিষেক

সন্দেশখালিকে ইস্যু করে ভোট বৈতরণী পারের চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিজেপি নেতার ভিডিও (ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেননি বিশ্ববাংলা সংবাদ) ভাইরাল হতেই সেই ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস হয়ে যায়। সোমবার, মঙ্গলকোটের সভা থেকে সেই ভাইরাল ভিডিওকে হাতিয়ার করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে মঙ্গলকোটের নতুনহাট লালডাঙা ফুটবল ময়দানে সভা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পূর্ব বর্ধমানের কিছু অংশ পড়ে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে। অভিষেকের দাবি, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। এই নির্বাচন জয়ের ব্যবধান বৃদ্ধি করার লড়াই। মঞ্চ থেকে এক তিরে বাম-বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

এদিনের সভা মঞ্চ থেকে সন্দেশখালিকে বিজেপি তৈরি করা অশান্তি ও ধর্ষণের ভুয়ো অভিযো নিয়ে ভাইরাল হওয়া স্টিং অপারেশনের ভিডিও নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, “নিজেদের স্বার্থে সন্দেশখালি মা-বোনেদের মানসম্মান ২০০০ টাকায় বিক্রি করেছে বিজেপি।” অভিষেকের কথায়, সন্দেশখালির ‘সন্দেশ’, বাংলা বিরোধীদের খেলা শেষ।

এরপরেই বামেদের নিশান করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। উল্লেখ করেন বামজমানার কথা। বলেন, আগে মঙ্গলকোটে নিত্যদিন অশান্তি করত সিপিএম। এর পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ অভিষেকের। বলেন, “সিপিএমের গুন্ডারা এখন জামা পাল্টে বিজেপিতে।“ ২০১১-এর আগে সিপিএমের অত্যাচারের কথা স্মরণ করান অভিষেক।

লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্রে এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল। এবার বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। এই নির্বাচন জয়ের ব্যবধান বৃদ্ধি করার লড়াই- বার্তা তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ২০০৯ পর্যন্ত টানা ১২বার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছে সিপিআইএম। ২০১৪ সালে সিপিএমের রামচন্দ্র ডোমকে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূলের অনুপম হাজরা। পরের বার তিনি বিজেপিতে চলে যান। ২০১৯ সালে জয়ী হন অসিত। এ বার গেরুয়া শিবির এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে পিয়া সাহাকে। ১৩ মে চতুর্থ দফায় এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। ২০১১-তে ওই দিনেই রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। সেই কথা মনে করিয়ে অভিষেক বলেন, এবারও বিজেপিকে ওই দিন বিজেপিকে বিদায় দিতে হবে।

বিজেপি নেত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে যাওয়ার হুমকির অডিও বার্তা শোনান অভিষেক। অভিষেক জানান, বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীরভাণ্ডার বন্ধ করা হবে। মোদিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সভায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের কথা বলছেন না। সাম্প্রদায়িক বিষ বপন করছেন।”



Previous articleভোটে জয় পেতে জুমলাবাজি বিজেপির হাতিয়ার, বীরভূমে তোপ মমতার
Next articleনিয়োগ নিয়ে ‘বিজেপির নিয়ন্ত্রণ’ প্রকাশ্যে আনতেই বিতর্কে রাহুল! আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শিক্ষাবিদদের