আমার অনুমতি ছাড়া ফুটেজ প্রকাশ? আর কত নীচে নামবেন! বোসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ অভিযোগকারিণীর

যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া কীভাবে তাঁর ছবি প্রকাশ করা হল? এটা আইনানুগ নয় বলে অভিযোগ করেন অভিযোগকারিণী। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) চেয়েছিল কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। কিন্তু পুলিশের সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে একেবারে জনসমক্ষে সেই সিসিটিভি প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্যাতিতা। তিনি বলেন, রাজ্যপাল নিজেও জানেন উনি আমার সঙ্গে কী অন্যায় করেছেন। সেজন্যই রাজভবনের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছেন। এমনকী আমাকেও ভয় দেখানোর জন্য লোক পাঠিয়েছিলেন উনি। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রেখে তদন্ত করা উচিত। কিন্তু নিজের দোষ ঢাকতে উনি আমার এবং আমার পরিবারের অসম্মান করলেন। আর কত নীচে নামবেন রাজ্যপাল?

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) চেয়েছিল কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। কিন্তু পুলিশের সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে একেবারে জনসমক্ষে সেই সিসিটিভি প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্যাতিতা। তিনি বলেন, রাজ্যপাল নিজেও জানেন উনি আমার সঙ্গে কী অন্যায় করেছেন। সেজন্যই রাজভবনের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছেন। এমনকী আমাকেও ভয় দেখানোর জন্য লোক পাঠিয়েছিলেন উনি। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রেখে তদন্ত করা উচিত। কিন্তু নিজের দোষ ঢাকতে উনি আমার এবং আমার পরিবারের অসম্মান করলেন। আর কত নীচে নামবেন রাজ্যপাল?

বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট ১০০ জনের সামনে রাজভবনের নর্থ গেটের সামনের দুটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখাল রাজভবন কর্তৃপক্ষ। মোট তিনটি ধাপে ২ মে-এর বিকেলের ফুটেজ দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় ফুটেজে ৫টা ৩২ মিনিট নাগাদ অভিযোগকারিণী তরুণীকে রাজভবনের দিক থেকে পুলিশ আউটপোস্টের দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু বেছে বেছে দেখানো মাত্র ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের ভিডিওতে একবারের জন্যও রাজ্যপালকে দেখা যায়নি। অভিযোগ উঠেছিল, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে তরুণীকে ডেকে শ্লীলতাহানি করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু এদিন ভবনের ভিতরের কোনও ঘরের ফুটেজও দেখানো হয়নি। বরং অনুমতি না নিয়েই সকলের সামনে সেই ফুটেজ দেখানোয় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিযোগকারিণী তরুণী। জানিয়েছেন, ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আমি কাঁদতে কাঁদতে পুলিশ আউটপোস্টে ঢুকছি। কিন্তু এটা রাজ্যপালের হাস্যকর নাটক হয়ে গেল না? উনি পুলিশকে তদন্ত করতে দিচ্ছেন না, রাজভবনের কর্মীদেরও কথা বলতে দিচ্ছেন না। এদিকে হঠাৎ করে সিসিটিভি প্রকাশ করে দিলেন! এই সিসিটিভি ফুটেজে কী প্রমাণ হয়? এই ফুটেজ সামনে এনে উনি আমাকে আরও অসম্মান করলেন। নিজের কুরুচিকর কাজ ঢাকতে গিয়ে উনি আজকে হাস্যকর নাটক মঞ্চস্থ করলেন।