তৃতীয় দফার পর বিরোধীদের ভাষায় কথা, মোদি ফিরবেন না বুঝেছে শিল্পমহলও!

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, এবারও “৫৬ ইঞ্চি ছাতি” নিয়ে বুক ফুলিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন। কংগ্রেস সহ তামাম বিরোধীদের চেনা মেজাজে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আচমকা ছন্দপতন, চলতি লোকসভায় তৃতীয় দফার পর কথাবার্তা থেকে শুরু করে শরীরীভাষা বিলকুল বদলে গিয়েছে। বিরোধীদের ভাষায় কথা শুরু করেছেন মোদি। তবে কি অঙ্ক বদলে গিয়েছে? সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তিনি?

এতদিন প্রচারে যা হাঁকডাক ছিল, সেই ৪০০ সংখ্যায় পৌঁছনো দূরঅস্ত, বিজেপি গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে তো? এই ধন্দ খোদ শিল্পমহলের। বিশেষ করে বিরোধীরা এতদিন ধরে লাগাতার দাবি করে এসেছে, মোদি সরকার আসলে কর্পোরেট-বন্ধু। সেই শিল্পমহল-ই সন্দেহ প্রকাশ করায় নড়েচড়ে বসেছে দিল্লির দরবার। তৃতীয় দফার শেষে ভোটদানের যা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তার জেরেই এই ইঙ্গিত নয় তো? আর এই সংশয়েরই প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারে। একের পর এক সমীক্ষক ও বিশ্লেষকের ব্যাখ্যা, বিজেপির আসন কমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অন্তত রাজ্যগুলির ফিডব্যাক তেমনই। এতে কেমন পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা? হয় কম আসনের দুর্বল সরকার, অথবা শাসক বদল। ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় পরপর তিনটি দফায় ভোটদানের হার কমে যাওয়ায় চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ফলাফল নিয়ে। অতীতে দেখা গিয়েছে, ভোটপর্বে শেয়ার বাজার যখনই নিম্নমুখী হয়েছে, তখনই পতন ঘটেছে শাসকের। তাই আতঙ্কিত বিজেপিও। ভোটপর্ব শুরু হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি যতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, এখন তিনি এবং তাঁর দল ততটাই টালমাটাল। আদানি-আম্বানিদের সঙ্গে
মোদির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে যে অভিযোগ বার বার বিরোধীরা করে এসেছে, এবার ঘুরিয়ে সেই একই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে মোদির মুখে! তাহলে কী বিরোধী আসনে বসার ইঙ্গিত পেয়ে গিয়েছেন মোদি?

অন্যদিকে, সন্দেশখালি অস্বস্তির মধ্যেই ফের ১২ মে রাজ্যে আসছেন মোদি। এবার একদিনে চারটি নির্বাচনী সভা করার কথা তাঁর। বিজেপি সূত্রে খবর, ওইদিন ব্যারাকপুর, আরামাবাগ, হুগলি এবং হাওড়াতে নির্বাচনী সমাবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার যেসব লোকসভা আসনে নির্বাচনী প্রচার সমাবেশ করছেন, সেগুলিতে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপি। কারণ, মোদি যেগুলিতে সমাবেশ করেছেন বা আগামিদিনে করবেন, সেগুলিতে যদি বিজেপি পিছিয়ে থাকে, তাহলে তা দলের রাজ্য নেতৃত্বের জন্য অত্যন্ত বিড়ম্বনার বিষয় হবে। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম বঙ্গ সফর হয় ৪ এপ্রিল। শুরু হয়েছিল কোচবিহার থেকে। এটি তাঁর ১২ তম বঙ্গ ফর হতে চলেছে।

আরও পড়ুন- কলকাতা পুলিশের হাতে গঙ্গার জেটি গ্যাং- এর মাথা, ‘জল-লুটেরা’কে জেরা তদন্তকারীদের 


 

Previous articleকলকাতা পুলিশের হাতে গঙ্গার জেটি গ্যাং- এর মাথা, ‘জল-লুটেরা’কে জেরা তদন্তকারীদের 
Next articleনতুন কোচের খোঁজে বিসিসিআই, দেওয়া হবে বিজ্ঞাপন