৫০ দিন জেলবন্দি থেকে শর্তসাপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রাধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, ফের নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সব বিজেপি বিরোধী নেতৃত্ব পিনারাই বিজয়ন, উদ্ধব ঠাকরে, এম কে স্ট্যালিনের মতো বিরোধীদের জেলে পুরবেন।
জেল থেকে বেরনোর পর শনিবার দিল্লিতে স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালকে নিয়ে প্রথম প্রচারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সকালে প্রথমে কনট প্লেসের হনুমান মন্দির, তারপর নবগ্রহ মন্দিরে পুজো দিয়ে একটি রোড শো করেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ভোট শেষ হয়ে গেলেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতাদের মাটিতে মিশিয়ে দেবেন মোদি। কেজরিওয়াল বলেন, “হেমন্ত সোরেনকে জেলে পুরছে বিজেপি। মমতা দিদির মন্ত্রীদের জেলে ভরেছে।“ আবার যদি মোদি ক্ষমতায় ফেরে তাহলে মমতা-সহ বিরোধীদের জেলে ভরবেন বলে অভিযোগ আপ প্রধানের।
একইসঙ্গে কেজরির আরও দাবি, হেমন্ত সোরেনের উচিত হয়নি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া। তাঁর কথায়, “পদত্যাগ না করে আমি জেল থেকে তানাশাহির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। জেলে থাকার সময়, কিছু লোক প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না? ৭৫ বছরের ইতিহাসে দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আপ। এই ফলাফল দেখে ওরা (বিজেপি) বুঝতে পেরেছিল আপকে হারানো কঠিন। তাই কেজরিকে জেলে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ভেবেছিল, সরকার পড়ে যাবে। কিন্তু আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি।”
কেজরির বলেনন, মোদি এক দেশ, এক নেতা অভিযান শুরু করেছেন। লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলিমনোহর জোশি, শিবরাজ সিং চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, মনোহরলাল খট্টর, রমন সিংকে উনি শেষ করেছেন। এরপর পালা যোগীর। যদি মোদি আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বদল করে দেবেন।