ভাষা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব: রোড় শো শেষে গর্জে উঠলেন অভিষেক

ভাষা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন বিজেপি নেতারা। শনিবার, প্রথমে উলুবেড়িয়ার জনসভা ও পরে বর্ধমান-দুর্গাপুরের রোড শো শেষে বক্তৃতায় গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) থেকে শুরু করেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) কুকথার জন্য তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক।এদিন সাজদা আহমেদের সমর্থনে উলুবেরিয়ার জনসভায় মহিলাদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অশ্রাব্য গালিগালাজের অডিও শোনান অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বলেন, মহিলাদের প্রতি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন শুভেন্দু , আমরা মরে গেলেও সেই ভাষা ব্যবহার করতে পারব না। এই বিজেপি নেতা যাকে পাশে বসিয়ে মোদি- শাহ সভা-সমিতি করেন তাঁর মুখের ভাষা শুনুন।দিলীপ ঘোষের কুকথা নিয়েও তোপ দাগেন অভিষেক। বলেন, “বিজেপি এখানে এমন একজনকে প্রার্থী করেছে যিনি সবসময় মানুষকে ধমকে চমকে দিল্লির নেতাদের কাছে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কখনও বলেন গর্তে ঢুকিয়ে দেবো, কখনো বলেন মাথা ফাটিয়ে দেবো, কখনো বলেন মেরে ফেলব, কেটে ফেলবো, চামড়া গুটিয়ে দেবো। আবার কখনও বলছে , মা দুর্গার বাবা-মায়ের কোন ঠিকানা নেই। ভাবুন যা খুশি তাই বলছে!

এরপরই বিজেপি প্রাথীকে তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের সাংসদ ছিলেন পাঁচ বছর। বিজেপি তাকে মেদিনীপুর থেকে সরালো কেন! কারণ পাঁচ বছরে সেখানে কোনও পরিষেবা দেয়নি। পাঁচ মিনিটও সময় দেয়নি। বিজেপি হারের ভয়ে দিলীপ ঘোষকে এখানে পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয়, কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া তার পাশে বসে চা খায়। গত ১০ বছর কেন্দ্রে আপনার সরকার ক্ষমতায়, কী করেছেন আপনারা! এই দুর্গাপুরের স্টিল প্লান্ট কেন্দ্র বিক্রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষের প্রতিরোধের প্রতিবাদে করতে পারেনি। এখন বলছে কাজ করবে। দশ বছর কী নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন? প্রশ্ন অভিষেকের। সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে বলেন বাংলার ১০ কোটি মানুষকে ছোট করেছে দেশের কাছে, শুধুমাত্র কয়েকটা ভোটের জন্য।“ এইসঙ্গে অভিষেকের অভিযোগ, বিজেপি এখন সকলকে টাকা দিয়ে কিনতে চাইছে। ক্লাবগুলিকে টাকা দিচ্ছে। কিন্তু পাঁচ বছরে কোনও দিন খোঁজ নেয়নি।

তৃণমূল প্রার্থীর সম্পর্কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “বিজেপির সবথেকে ভালো সময় ২০১৪ তে অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কীর্তি আজাদ বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। আপনাদের সব ভোট এবার কীর্তি আজাদকে দিন।“





Previous articleপুরনো রূপে ফিরছে মহাকরণ! সংস্কারের কাজে গতি বাড়াল রাজ্য সরকার
Next articleবিবাহবার্ষিকী ভুলেছেন রাজ, কেলেঙ্কারি কাণ্ড বাঁধালেন নায়িকা!