Friday, November 7, 2025

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কোটি টাকা তছরূপ! দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা

Date:

ভোটের মুখে একের পর এক ঘটনায় চরম বিপাকে বিজেপি। সন্দেশখালি স্ট্রিং অপরেশন অস্বস্তি থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ তো ছিলই, গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ কাঁথির বিজেপি নেতা কুমারজিৎ সিংহ-কে কাঁথি থেকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন টেকনোসিটি থানার পুলিশ। ধৃত কুমারজিতের বাড়ি কাঁথি শহরের কুমারপুরে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, “ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন”-এর কর্মসূচিতে ভুয়ো প্রতিষ্ঠান এবং ভুয়ো ছাত্র-ছাত্রীদের নাম নথিভুক্ত করে বৃত্তি বাবদ কোটি টাকার বেশি টাকা তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই চক্রের সঙ্গে বিজেপির আরও কিছু বিধায়ক এবং প্রভাবশালী নেতা সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে ঘটনার শিকড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 

প্রভাবশালী মহলে কুমারজিতের আনাগোনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী সহ অনেক বিজেপি নেতার সঙ্গে কুমারজিতের ছবি পোস্ট করা আছে। লোকসভা ভোটে কাঁথির বিজেপি প্রার্থী তথা শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর একাধিক প্রচার কর্মসূচিতেও উপস্থিত ছিলেন। তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী কুশল বিকাশ যোজনা কেন্দ্র’-এর দায়িত্বেও ছিলেন।

২৬ এপ্রিল রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং’ বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং জয়েন্ট অ্যাপ্রেন্টিজ়শিপ অ্যাডভাইসর সুব্রত কুমার দাস লিখিত অভিযোগ করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন টেকনোসিটি থানায়। তিনি ‘কন্টাই পূর্ব সোশ্যাল অর্গানাইজেশন’ নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ এনেছেন। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। কেন্দ্রের পোর্টাল অনুযায়ী, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধীনে ২৫,৬৮৬ জন শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। এর মধ্যে দু’টি ক্ষেত্রে ১৯,৬৬৮ জনের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। যদিও রাজ্যের কাছে মাত্র ৯৫৫১ জনের তথ্য রয়েছে।

সন্দেহ হতে রাজ্য নড়েচড়ে বসে। ১৬ এপ্রিল থেকে তদন্তকারীরা কাজ শুরু করেন। ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৯টি প্রতিষ্ঠানে তাঁরা তদন্ত চালিয়েছেন। ওই সংস্থাগুলিতেই ৫৯৬৩ জন শিক্ষানবিশের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই নেই। আবার কোথাও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, কিন্তু শিক্ষানবিশের অস্তিত্ব নেই। কোথাও আবার প্রতিষ্ঠানগুলির তথ্যের সঙ্গে সরকারি পোর্টালে তথ্যের মিল খুঁজে পাননি আধিকারিকেরা।

Related articles

ব্রিটিশ-তোষণে লেখা ‘জন গণ মন’! বিজেপি সাংসদের অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের

ব্রিটিশদের তোষণ করতেই নাকি লেখা হয়েছিল ‘জন গণ মন’। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এই ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে ফের...

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...
Exit mobile version