লোকসভা ভোটের মাঝেই বাংলা-পাঞ্জাবে ওবিসি কোটা বাড়ানোর সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিশনের

পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রয়েছে অর্থাৎ আরও পাঁচ শতাংশ পদ সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে

ভোটের ময়দানে সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে চাকরি-শিক্ষায় তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি-দের প্রাপ্য সুবিধা কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। লোকসভা ভোটের মাঝেই এবার বাংলা এবং পাঞ্জাব সরকারকে ওবিসি কোটা বাড়াতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন জানিয়েছে, বাংলায় এখন তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি মিলিয়ে মোট সংরক্ষণের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় ৪৫ শতাংশ পদ ওই তিন পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য সংরক্ষিত। এই আবহে সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা বাড়িয়ে মোট সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ করল জাতীয় ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন।

ন্যাশনাল কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ আহির বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব সরকারকেই তারা সুপারিশের কথা সরকারি বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন। এখন সরকারিভাবে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আহিরের যুক্তি সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পদ সংরক্ষণ করা যায়। পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রয়েছে অর্থাৎ আরও পাঁচ শতাংশ পদ সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে। রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। তাই বাড়তি কোটা ওই সম্প্রদায়ের প্রাপ্য।

বাংলায় এখন তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি’দের কোটার পরিমাণ যথাক্রমে ২২%, ৬% এবং ১৭%। ওবিসি-র ১৭ শতাংশের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের জন্য বরাদ্দ সাত শতাংশ। বাকি দশ শতাংশ ওবিসি-বি গ্রুপের জন্য। ওবিসি ভুক্তদের মধ্যে অতি পশ্চাৎপদদের দ্বিতীয় তালিকায় স্থান হয়েছে। এদিকে পাঞ্জাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতিদের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ৩৭ শতাংশ এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রে তা ৩৫ শতাংশ। পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে কমিশন সংরক্ষণের কোটা আরও বেশি বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। ওই রাজ্যে ওবিসিদের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে জাতীয় কমিশনের তরফে।





Previous articleথানার ঢুকে পুলিশকে কুকথা-হুমকি নওশাদের, পাল্টা জবাব SDPO-র
Next articleঅবসরের ঘোষণা সুনীলের, বন্ধুর সিদ্ধান্তের কথা শুনেই বিরাট বার্তা কোহলির, কী লিখল ফিফা?