লোকসভা ভোটের মধ্যেই মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে বড় আপডেট সুপ্রিম কোর্টে

আইনি জটিলতায় উত্তর কলকাতার মানিকতলা (Maniktala) কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Eection) দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে। বিধায়ক সাধন পাণ্ডের প্রয়াণের পর থেকে এই বিধানসভা একাকার মানুষ অভিভাবকহীন। বিধায়ক শূণ্য হওয়ায় মানিকতলার বিভিন্ন কাজ ও পরিষেবার ক্ষেত্রে মানুষকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এবার এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করে হবে তা দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক ভাবে সেই হলফনামা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) হেফাজতে থাকবে।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে মানিকতলা থেকে তৃণমূলের প্রতীকে জিতেছিলেন প্রয়াত সাধন পাণ্ডে। এই কেন্দ্র থেকে রেকর্ড জয় ছিল তাঁর। এরপর ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মৃত্যুর পরে দু’বছর কেটে গেলেও মানিকতলায় উপনির্বাচন হয়নি। কারণ, বিজেপি এই কেন্দ্রে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী কল্যাণ চৌবে তৃণমূল প্রার্থীর জয়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলা ঝুলে থাকায় উপনির্বাচন হয়নি। মানিকতলার নাগরিকদের হয়ে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে শুভেন্দু দে কলকাতা হাইকোর্টে গেলেও মামলা খারিজ হয়। পরে তা যায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে জানান, তিনি আর নির্বাচনী মামলা নিয়ে এগোতে চান না। পরে কলকাতা হাইকোর্টেও কল্যাণের তরফে জানানো হয়, তিনি নির্বাচনী মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।

এবার সুপ্রিমকোর্ট কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, উপনির্বাচন করতে এত দেরি হচ্ছে কেন? আদালত স্পষ্টই জানায়, এ ভাবে চলতে পারে না। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হলে ভাল হয়। কমিশনের আইনজীবী বলেন, “এত কম সময়ে এ ভাবে বলা সম্ভব নয়। তার উপরে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। তবে আমরা দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করব। তা ছাড়া দেরি তো আমাদের জন্য হয়নি।” মামলাকারীর আইনজীবী জানান, অতীতে ২ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। সেই ঘোষণার তথ্য জমা দেওয়ার অনুমতি চান আইনজীবী।

শীর্ষ আদালত জানায়, আগামী ২ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে ফল ভুগতে হবে কমিশনকে। কারণ, কমিশনই নির্বাচন আয়োজনের অথরিটি। দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনকে।