রেয়াত নয়, দুর্নীতি ইস্যুতে তদন্ত চলবে! ভোটের মাঝেই শুভেন্দুকে নিয়ে বিস্ফোরক নাড্ডা

সাত-দফায় চলতি লোকসভা নির্বাচনে আগামী সোমবার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। দেশজুড়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করতে রাজ্যে রাজ্যে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন সর্বভারতীয় নেতারা। বিজেপির দাবি, এবার জোট সঙ্গীদের নিয়ে তারা ৪০০ আসন পার করবে। অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছে, ২০০- এর গণ্ডি পেরোতে পারবে না নরেন্দ্র মোদি।

অন্যদিকে, এবার নির্বাচনে দেশজুড়ে অন্যতম বড় ইস্যু দুর্নীতি। বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধী দলগুলির নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিজেপি। জেলেও রয়েছেন বিরোধী দলের অনেক নেতামন্ত্রী। আবার বিরোধীদের দাবি, দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দল বিজেপি।অন্য দলের দুর্নীতিবাজ নেতাদের সবচেয়ে বেশি দলে নিয়েছে বিজেপি। যাদের বিরুদ্ধে বিজেপি সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ তুলতো, সেই নেতাদের একটা বড় অংশ তাদের দলেই যোগ দিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী, অজিত পাওয়ার, অশোক চৌহান, হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের দুর্নীতি নিয়ে একটা সময় সবচেয়ে বেশি সরব ছিল বিজেপি। কিন্তু তাঁরাই বিভিন্ন রাজ্যে এখন বিজেপির সম্পদ। ঠিক সেই জায়গা থেকে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই প্রশ্নগুলি রেখেছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সামনে।

নাড্ডার কাছে ওই সংবাদ মাধ্যমের সরাসরি প্রশ্ন ছিল,অনেক নেতাকে দলে নিয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে! উত্তরে বিজেপি সভাপতি বলেন, “দলকে শক্তিশালী করতে হবে এটাই লক্ষ্য। গুটিকয়েক নেতার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে। কিন্তু আমরা তদন্ত প্রক্রিয়া একেবারেই বন্ধ করিনি। আইন তার নিজস্ব ধারায় চলবে। যখন কিছু লোক বিজেপিতে যোগ দিতে চায়, আমরাও মনে করি এটা বিজেপির জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা সব কিছুর সঙ্গে আপস করি।”

এরপরই ওই সংবাদ মাধ্যম জানতে চায়, “তাহলে এর মানে কি এই যে শুভেন্দু অধিকারী, অজিত পাওয়ার, অশোক চৌহানের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত চলবে?” এই প্রশ্নের উত্তরে নাড্ডা কোনওরকম রাখঢাক না করে বলেন, “হ্যাঁ, সব (কার্যক্রম) চলছে। কোনওটাই বন্ধ হবে না। সবই চলছে।”

তাহলে প্রশ্ন, মজার ব্যাপার হল যে বিজেপির একজন বিধায়ক বা সাংসদও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কোনও তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন না কেন? নাড্ডার জবাব, “এ ব্যাপারে আমরা খুবই সচেতন। আমাদের দল দুর্নীতি ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দল এব্যাপারে খুবই কঠোর। মোদীজির সামনে কেউ কিছু করার সাহস করে না। আমাদের নিজস্ব প্রক্রিয়া খুব কঠিন, কঠোর নজরদারি রয়েছে এবং দলের লোকজনকে নিয়মিত সতর্ক করা হচ্ছে। তাদের জানানো আমার কর্তব্য।”