দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Aravind Kejriwal) জেলে আটকে না পেরে পাল্টা সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালকে (Swati Malliwal) টোপ হিসাবে ব্যবহার করে আপ (AAP) নেতাদের গ্রেফতার করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। শনিবার থেকেই এমন অভিযোগ তুলে লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আবহে ‘অপারেশন ঝাড়ুর’ কথা বলেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রবিবার দুপুরে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছে মোদি-শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কেজরি বলেন, আমাদের দলের সবাইকে গ্ৰেফতার করুন। যদিও পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয় বলে খবর। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাসভবনের ভেতরের সব সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। এমনই দাবি আম আদমি পার্টির। একই সঙ্গে আপের অভিযোগ, ভোটের মধ্যে আপের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই পুলিশ গল্প সাজাচ্ছে। যদিও দিল্লি পুলিশ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।

আপের রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে উত্তাল দিল্লি। মূলত বিজেপির কথা মতো কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভব কুমারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন স্বাতী। যদিও স্বাতীর অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিজেপি আপের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। তবে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছে আপ। এই আবহেই রবিবার কেজরিওয়ালের বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করল পুলিশ।এর আগে একাধিক বার তদন্তের স্বার্থে কেজরিওয়ালের বাসভবনে গিয়েছে দিল্লি পুলিশের দল। এমনকি, ফরেন্সিক দলও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যায়। কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহও করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থাকে PWD-এর অধীনে। সেই ফুটেজই সংগ্রহ করা হয়েছে বলে খবর।

গত ১৩ মে কেজরির বাসভবনেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্বাতীর। বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে বিভবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। শনিবার কেজরীওয়ালের বাসভবন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
