মাঝ আকাশে বিরাট বিপত্তি, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে মৃত যাত্রী!

বিমানের যাত্রীরা বর্ণনা করেন, হঠাৎই বিমানটি অনেকটা উপরের দিকে উঠে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি এক ঝটকায় নিচে নেমে যায়

প্রবল প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝায় (turbulence) বিমান পড়ার ফলে মৃত্যু হল এক যাত্রীর। ঘটনাটি ঘটে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী (Singapore) একটি বিমানে। ব্যাংককে (Bangkok) বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হলেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। যদিও প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝায় (turbulence) পড়া বিমানের ওই যাত্রীর মৃত্যু কীভাবে হল তার সঠিক কারণ প্রকাশিত না হলেও মৃতের শরীরে জোরালো আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। ওই বিমানের আরও প্রায় ৩০ জন যাত্রী আহত হন ঝঞ্ঝার কারণে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমানটি লন্ডনের হিথরো (Heathrow) বিমানবন্দর থেকে সোমবার বিকালে রওনা হয়। বিমানে ২১১ জন যাত্রী ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সেটা প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝার (turbulence) শিকার হয়। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Suvarnabhumi International Airport) জরুরি অবতরণ করে। থাইল্যান্ড প্রশাসনের সহযোগিতায় আহতদের অ্যাম্বুল্যান্সের হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়।

বিমানের যাত্রীরা বর্ণনা করেন, হঠাৎই বিমানটি অনেকটা উপরের দিকে উঠে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি এক ঝটকায় নিচে নেমে যায়। যে সব যাত্রীরা সিটবেল্ট (seat belt) পরে ছিলেন না তাঁদের অনেকেরই মাথা বিমানের ছাদের দিকে ঠুকে যায়। আবার অনেকেই লাগেজের তাকে জোরালো আঘাত পান। এই ঘটনার পরই বিমান বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই জন্যই বিমান কর্তৃপক্ষ সিটবেল্টের ব্যবহার করতে বলেন। তাঁরা যেটা বলেন সেটা যে বিনা কারণে নয়, এই ধরনের ঘটনায় সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল।

যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বিমানের পড়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। তবে এভাবে মৃত্যুর ঘটনা বিরল। যদিও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দাবি পৃথিবীর উষ্ণতা (Global warming) যত বাড়ছে তত আকাশে প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে বিমানের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ার ঘটনা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

Previous articleদিয়ামান্তাকোসকে পেতে কোমর বেঁধে আসরে ইস্টবেঙ্গল, পিছিয়ে নেই মুম্বইও
Next articleপুরুলিয়াকে অশান্ত করছে রাম-বাম! বিজেপির প্রার্থীর বাড়িতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড: আক্রমণ অভিষেকের